করোনার চরিত্র, সংক্রমণের পদ্ধতি সবেতেই বদল এসেছে। মার্চ মাসের থেকে অনেকটাই বদল এসেছে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সেপ্টেম্বরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এক লক্ষ ছুঁইছুঁই। এখন তা নেমে এসেছে ৭০ থেকে ৮০-এর কোঠায়। পরিস্থিতি বিচার করে যেমন লকডাউন নিয়মে বদল এসেছে তেমন দেশের প্রতিটি রাজ্যই তাঁদের কোয়ারেন্টাইন নিয়মেও বদল এনেছে। প্রয়োজন এবং কর্মসূত্রে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে যাওয়া ব্যক্তিদের পৃথকীকরণ এবং সেলফ আইসোলেশনের নির্দেশিকা সংশোধিত হয়েছে। দেশে কোয়ারেন্টাইন নির্দেশিকা প্রথম বদল করেছে কেরল। দক্ষিণের এই রাজ্যে যেসকল ব্যক্তিরা আসবে তাঁদের ১৪ দিনের বদলে ৭ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ জারি হয়েছে।
এমনকী বর্তমানে কিছু রাজ্য কিছুদিনের জন্য ব্যবসায়িক সফরে এদেশে আসা বিদেশি যাত্রীদের জন্য আইসোলেশনের নিয়ম শিথিল করেছে। কিছু কিছু যাত্রীদের জন্যও গাইডলাইন সহজতর করা হয়েছে। বিদেশি যাত্রীদের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে থাকার মেয়াদও কমিয়ে সাত দিন করেছে সরকার এবং পরবর্তীতে ৭ দিন তাঁদের হোম আইসোলেশনে থাকার বিধি জারি করেছে।
আরও পড়ুন, ‘১-২ দিনের লকডাউনে কি লাভ হচ্ছে?’ রাজ্যগুলিকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পরামর্শ মোদীর
দিল্লিতে কোয়ারেন্টাইন বিধি:
বিদেশি যাত্রীদের জন্য: নির্ধারিত হোটেলগুলিতে বিনামূল্যে কোয়ারান্টিন সরকারী সুবিধা দেওয়া হচ্ছে সাত দিনের জন্যে। এরপর যাত্রীদের সাত দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়ের জন্য, যাত্রীদের যাত্রা শুরু করার ৯৬ ঘন্টা আগে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্টগুলি আপলোড করতে হবে। তবেই কোয়ারেন্টাইনে ছাড় মিলবে।
অন্তর্দেশিয় যাত্রীদের জন্য: সাত দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক। সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তি এবং সরকারী কর্মী-সদস্যদের পরবর্তী সাত দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন, করোনা সংক্রমণে শীর্ষ রাজ্যগুলিতে কমছে আক্রান্তের সংখ্যা
পশ্চিমবঙ্গের কোয়েরেন্টাইন বিধি:
যাত্রীরা যারা উপসর্গহীন তাঁদের বাড়িতেই ১৪ দিনের স্ব-পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছে মমতা প্রশাসন। যেসকল ব্যক্তিদের দেহে উপসর্গ রয়েছে তাঁদের কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজনীতার সিদ্ধান্ত নেবে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
বিদেশি যাত্রীদের যাত্রার ৯৬ ঘন্টা আগে কোভিডের আরটি-পিসিয়ার পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্টের একটি প্রতিবেদন নিজের কাছে রাখতে হবে। বিমানবন্দর ছাড়ার আগে তা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। 'এয়ার সুবিধা পোর্টালে' এই রিপোর্ট জমা করলে সেখান থেকে যাত্রীদের একটি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
দেশের অন্যান্য রাজ্যেগুলিওতেও কম বেশি একই চিত্র। কোথাও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন আবার কোথাও ৭ দিন করে ইনস্টিটিউশনাল এবং হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ জারি হয়েছে। সব রাজ্যেই প্রথম ৭ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এখনও ভ্যাকসিন উপলব্ধ হয়নি দেশে। তাই 'ব্রেক দ্য চেইন'-এ ভরসা রেখেই করোনা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে দেশ।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন