Tirupati laddoo: ব্রিটিশ জমানায় ভারতীয় মন্দিরগুলোর ওপর সরকারি আধিপত্য কায়েম হয়েছিল। সময়টা ছিল ১৯২৫। সেই সময় ভারতে ব্রিটিশরাজের শাসন। আর, তখনই মন্দিরগুলোর ওপর কায়েম হয় সরকারি নিয়ন্ত্রণ। এবার তিরুপতির লাড্ডু বিতর্কে সেই নিয়ন্ত্রণেরই অবসান চাইছেন অনেকেই। যা ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। এবার সরকারি নিয়ন্ত্রণ বন্ধের জোরালো দাবি তুলেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো।
সঙ্ঘ পরিবারের মধ্যে যারা মন্দির ইস্যুতে সবচেয়ে সরব, সেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দেশব্যাপী এনিয়ে প্রচারও শুরু করে দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, মন্দিরগুলোর ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ আক্রমণকারী এবং ঔপনিবেশিক মানসিকতার পরিচয়। ব্রিটিশরা চলে গেলেও সেই নিয়ন্ত্রণ আজও বহাল আছে বলেই ভিএইচপির দাবি। অন্ধ্রপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ মন্দিরগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো দেখভালের জন্য একটি 'সনাতন ধর্ম রক্ষা বোর্ড' গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। এই বোর্ড 'অপবিত্রকরণ', 'জমির সমস্যা' এবং 'অন্যান্য ধর্মচর্চা'র মত বিষয়গুলো দেখবে বলেই তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন।
ভারতে ধর্মীয় স্থানগুলো কীভাবে পরিচালিত হয়?
মুসলিম এবং খ্রিস্টানরা তাদের উপাসনালয় এবং প্রতিষ্ঠানগুলো সম্প্রদায় দ্বারা পরিচালিত বোর্ড বা ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালনা করে। আর সরকার- হিন্দু, শিখ, জৈন এবং বৌদ্ধদের উল্লেখযোগ্য উপাসনালয়গুলোর ব্যবস্থাপনায় যথেষ্ট প্রভাব খাটায়। বেশ কয়েকটি রাজ্য আবার বিশেষ আইন প্রণয়ন করেছে। যা তাদেরকে হিন্দু মন্দিরের প্রশাসনে, মন্দিরের আয় ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে কথা বলা বা নিয়ন্ত্রণে অংশীদারের মতই অনুমতি দিয়েছে। সরকার এই নিয়ন্ত্রণ বোর্ড বা ট্রাস্টের মাধ্যমে কায়েম করে। এই বোর্ড বা ট্রাস্টে সরকারি প্রতিনিধি থাকে। একজন সরকারি আধিকারিক এই বোর্ড বা ট্রাস্টে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন- আরজি কর-এ চিকিৎসার বর্জ্য দুর্নীতি? তদন্ত যতই এগোচ্ছে, চমকে উঠছে সিবিআই
তামিলনাড়ুতে সম্ভবত সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন সবচেয়ে বেশিসংখ্যক হিন্দু মন্দির রয়েছে। এই মন্দিরগুলি পরিচালনা করার জন্য হিন্দু ধর্মীয় ও দাতব্য এনডাউমেন্টস বিভাগ (HR&CE) নামে একটি বিভাগ আছে। আর, তিরুপতি মন্দিরটি অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানাম (TTD) নামে একটি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয়। সরকার টিটিডির প্রধানকে নিযুক্ত করে থাকেন। এই সব নিয়ন্ত্রণেরই অবসান চাইছেন সঙ্ঘ পরিবার।