আজ গ্রেফতার হতে পারেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তিনি মুখ বন্ধ রাখার জন্য পর্নস্টার স্টোর্মি ড্যানিয়েলকে ঘুষ দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হতে পারে। সোম অথবা বুধবার তাঁকে বিচারকদের সামনে হাজির করানো হতে পারে। ম্যানহাটনের সরকারি জেলা আইনজীবী আলভিন ব্র্যাগের কার্যালয় ১,৩০,০০০ মার্কিন ডলার পেমেন্টের ব্যাপারে তদন্ত করেছে।
কোন সময়ের ঘটনা
এই অর্থ দিয়েছিলেন মাইকেল কোহেন। তিনি ট্রাম্পের প্রাক্তন আইনজীবী। কোহেনই ২০১৬ সালে নির্বাচনের সময় ট্রাম্পের হয়ে ড্যানিয়েলকে ওই অর্থ ঘুষ দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্টোর্মি ড্যানিয়েলের অভিযোগ, ২০০৬ সালে তাঁর সঙ্গে ট্রাম্পের যৌন সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। মেলানিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের বিয়ের পর এই ঘটনা ঘটেছিল। ততদিনে মেলানিয়ার কোলে ট্রাম্পের সন্তান ব্যারনও চলে এসেছে।
বিক্ষোভের নির্দেশ
এই পরিস্থিতিতে গ্রেফতারির সম্ভাবনা দেখে গত ১৮ মার্চ, ট্রাম্প তাঁর সদস্য ও সমর্থকদের বিক্ষোভ দেখানোর জন্য পথে নামতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে দাবি করেন যে তিনি গোপনে জানতে পেরেছেন, তাঁকে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) গ্রেফতার করা হতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লেখেন, 'দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অত্যন্ত রাজনৈতিক ম্যানহাটনের জেলা অ্যাটর্নির কার্যালয় থেকে ফাঁস হওয়া তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে, কোনও অপরাধ প্রমাণিত হয়নি। তারপরই রিপাবলিকান প্রার্থী ও আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে পরের সপ্তাহে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হবে। দেশে বিক্ষোভ ফিরবে!'
আরও পড়ুন- আরও ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই হবেন! Amazon কি ভরাডুবির পথে?
জালিয়াতিটা কোথায়?
স্টোর্মি ড্যানিয়েলের আসল নাম স্টেফানি ক্লিফোর্ড। এই ড্যানিয়েলকে ট্রাম্পের প্রাক্তন আইনজীবী কোহেন অর্থ দিয়েছিলেন। আর, ট্রাম্প পরে একই পরিমাণ অর্থ কোহেনকে শোধ করেছিলেন। তার মধ্যে ট্রাম্প তাঁর আইনজীবীকে যে অর্থ দিয়েছিলেন, তার পাশে সরকারি নথিতে লেখা আছে, 'আইনি পরামর্শের জন্য দেওয়া ফি'। আইনজীবীদের দাবি, ট্রাম্প এই জালিয়াতি হিসেবই প্রশাসনের কাছে পেশ করেছিলেন। যা আদতে প্রশাসনের সঙ্গেই জালিয়াতি। ট্রাম্প নিজে অবশ্য গোড়া থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে যাচ্ছেন।