পূর্ব এশিয়া এবং উত্তর আমেরিকা থেকে রাতের পর্যবেক্ষকরা মঙ্গলবার একটি 'রক্তাক্ত চাঁদ' দেখতে পাবেন। শর্ত একটাই, আবহাওয়াকে অনুকূল থাকতে হবে। সৌরজগতের ব্যাপারে উৎসাহী মানুষ এই দৃশ্য দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন। কারণ, পৃথিবী, চাঁদ এবং সূর্য ২০২৫ সালের মধ্যে এটাই শেষবারের জন্য একসারিতে এসে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দৃশ্যমান করতে চলেছে।
একটি পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবী সম্পূর্ণরূপে চাঁদের ওপর ছায়া ফেলে, সূর্য থেকে চাঁদের ওপর আলোর প্রতিফলন অবরুদ্ধ চন্দ্র কক্ষ থেকে সমস্ত সরাসরি সূর্যালোকের প্রতিফলনকে অবরুদ্ধ করে। এই সময় চাঁদের রং লালচে আভার মত দেখায়, তাই একে 'ব্লাড মুন' বলে।
চন্দ্রপৃষ্ঠের লালচে চেহারার বিশেষ কারণ আছে। কারণ, চাঁদ সম্পূর্ণরূপে দৃশ্য থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় না। কারণ, সূর্যের আয়তন পৃথিবীর চেয়ে অনেক বেশি। এই অবস্থায় সূর্যের বাইরের প্রান্তের রশ্মি এসে চাঁদের ওপর পড়ে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে যা যাওয়ার সময় ফিল্টার এবং প্রতিসৃত হয়। এতে চাঁদ পরোক্ষভাবে আলোকিত হয়। তাকে একটি আবছা তামাটে আভাযুক্ত
লাল চেহারায় দেখা যায়। এর মাত্রা অবশ্য বায়ুমণ্ডলের অবস্থার ওপর নির্ভর করে। যা বায়ুদূষণ, ধুলোঝড়, দাবানলের ধোঁয়া এবং আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের মাত্রার সঙ্গেই পরিবর্তিত হয়।
আরও পড়ুন- কী করা উচিত চন্দ্রগ্রহণে, কী বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র?
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার নাসার বক্তব্য অনুসারে, পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ প্রতি দেড় বছরে গড়ে প্রায় একবার হয়। কিন্তু, এই ব্যবধানও পরিবর্তিত হয়। এর আগে চলতি বছরেই মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগহণ হয়েছিল। তারপর মঙ্গলবার হচ্ছে। মানে, একবছরেই দুটো। পরবর্তীটি হবে ২০২৫ সালের ১৪ মার্চ।
মঙ্গলবারের সূর্যগ্রহণ পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, প্রশান্ত মহাসাগর এবং উত্তর আমেরিকা জুড়ে দৃশ্যমান হবে। এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার পর্যবেক্ষকরা সন্ধ্যায় চন্দ্রোদয়ের সঙ্গে এটি দেখতে পাবেন। উত্তর আমেরিকার পর্যবেক্ষকরা আবার চন্দ্র অস্ত যাওয়ার আগে ভোরবেলায় দেখবেন। ওই অঞ্চলে যেখানেই আকাশ পরিষ্কার থাকবে, সেখানেই এটি খালি চোখে দেখা যাবে।
Read full story in English