Explained: তেজস্বী সূর্য বিতর্ক: জরুরি দরজা কী, বিমানে থাকে কেন?

বিমানসংস্থার বিবৃতিতে সাংসদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

বিমানসংস্থার বিবৃতিতে সাংসদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Tejasvi Surya

তেজস্বী সূর্য

বিজেপি যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য। তিনি বেঙ্গালুরু দক্ষিণের সাংসদ। বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বিমানের জরুরি দরজা খুলে ফেলেছিলেন তেজস্বী। ঘটনাটি ১০ ডিসেম্বরের। সেই সময়ে ইন্ডিগো বিমানটি চেন্নাই বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েছিল। জানাজানির পর ঘটনাটি নিয়ে হইচই শুরু হয়। মঙ্গলবার (১৭) জানুয়ারি এই ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে বিমান সংস্থাটি।

Advertisment

সূর্যের নাম প্রকাশ করা হয়নি
বিবৃতিতে অবশ্য তেজস্বী সূর্যের নাম উল্লেখ করা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, টএকজন যাত্রী ৬ই ৭৩৩৯ বিমানে চেন্নাই থেকে তিরুচিরাপল্লিতে যাচ্ছিলেন। ১০ ডিসেম্বর, ২০২২-এ যাত্রার সময় ওই যাত্রী দুর্ঘটনাক্রমে বিমানের জরুরি নির্গমনের দরজাটি খুলে ফেলেছিলেন।' বিমান সংস্থাটির পাশাপাশি এই ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে অসামরিক বিমান পরিবহণ সংস্থা (ডিজিসিএ)। তারাও বিবৃতিতে এক যাত্রীর 'ভুল' হয়েছে বলে জানিয়েছে। জরুরি নির্গমনের দরজা খোলার সময় বিমানটি কেবল উড়ে যাওয়ার মুখে ছিল।

এমন নজির আছে
আচমকা বিমানের জরুরি দরজা খুলে দেওয়ায় প্রোটোকল অনুযায়ী যাত্রীদের বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর বিমানটি পুরোপুরি পরীক্ষার পর তা রওনা হয়। কোনও যাত্রী বিমানের জরুরি দরজা খোলার চেষ্টা করেছেন, এটা কিন্তু এই প্রথমবার ঘটল না। বিমানযাত্রার ইতিহাসে এমন নজির বহু আছে। যা বলছে, শুধুমাত্র মাটিতে দাঁড়ানো অবস্থায় নয়। আকাশে বিমান উড়ছে, সেই পরিস্থিতিতেও বিমানের জরুরি দরজা খোলার চেষ্টা করেছেন যাত্রী।

জরুরি দরজা থাকে কেন?
যাত্রী এবং বিমানকর্মীরা যাতে দ্রুত বিমান থেকে বেরোতে পারেন, সেকথা মাথায় রেখেই বিমানের জরুরি দরজা তৈরি হয়েছে। লক্ষ্য একটাই, বিমান যাতে দ্রুত খালি করা সম্ভব হয়। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে, বিমান থেকে দ্রুত যাত্রীদের বের করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সেই আপদকালীন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই যাত্রী এবং বিমানকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য এই জরুরি দরজা তৈরি হয়েছে।

Advertisment

আরও পড়়ুন- ‘বিরাট’ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, আর্থিক সাহায্য দিতে রাজ্যে এল নতুন প্রকল্প

এয়ারবাস দেখিয়েছিল
এই সব দরজা শুধুমাত্র জরুরি পরিস্থিতিতেই খোলা হয়। জরুরি দরজা খোলার সিদ্ধান্ত থাকে বিমানকর্মীদের হাতে। পরীক্ষা এবং ছাড়পত্র পাওয়ার সময় কোনও সংস্থাকে দেখাতে হয় যে, তাদের বিমান থেকে কর্মী-সহ সব যাত্রীকে ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে বের করা যেতে পারে। বিমানের মূল দরজা যদি বন্ধ থাকে, তারপরও সব যাত্রীকে দেড় মিনিটের মধ্যে বিমান থেকে বের করা সম্ভব। ২০০৬ সালে এমনই এক জরুরি পরিস্থিতির মক ড্রিলে সুপারজাম্বো এয়ারবাস এ৩৮০ দেখিয়েছিল যে মাত্র ৭৮ সেকেন্ডে ৮৫৩ জন যাত্রী এবং বিমানকর্মীকে নিরাপদে বিমান থেকে বের করা সম্ভব।

Read full story in English

Tejasvi Surya DGCA Travel Advisory BJP MP