Understanding the Core Issues in the Legal Challenge to the New Waqf Law in India: নতুন ওয়াকফ আইন (Waqf bill) নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক ও আইনি চ্যালেঞ্জ। কেন এই আইনকে ঘিরে এত উত্তেজনা (Violence)? কী কী গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু উঠে এসেছে এই আইনের বিরোধিতায়? বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ওয়াকফ কী?
ওয়াকফ হল এক ইসলামিক প্রথা। যে প্রথার আওতায় ধর্মীয় বা জনকল্যাণমূলক উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সম্পত্তি স্থায়ীভাবে দান করা হয়। ভারতে ওয়াকফ সম্পত্তির দেখভাল করে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ড। কিন্তু ওয়াকফ আইন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক রয়েছে, যার পেছনে রয়েছে মালিকানা, স্বচ্ছতা ও সংবিধানিক অধিকার সংক্রান্ত নানা প্রশ্ন।
আরও পড়ুন- অলৌকিক রহস্যে ঘেরা, আজও অগণিত ভক্তের আকর্ষণের কেন্দ্রে গড় চণ্ডীধাম
নতুন ওয়াকফ আইন ২০২৩ – মূল বিষয়বস্তু:
২০২৩ সালে কেন্দ্র নতুন করে ওয়াকফ আইন সংশোধন করেছে, যেখানে ওয়াকফ বোর্ডকে আরও বিস্তৃত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও সমীক্ষার ক্ষেত্রে। একইসঙ্গে, সরকারের নজরদারি ও তথ্য আদানপ্রদানের ক্ষমতাও বেড়েছে।
আরও পড়ুন- স্বপ্নে কালো সাপ দেখেছেন? জানেন এর ফল কী হতে পারে?
প্রধান চ্যালেঞ্জ ও বিতর্ক:
স্বচ্ছতার অভাব ও একতরফা ক্ষমতা:- বিরোধীদের মতে, বোর্ডের হাতে এত বেশি ক্ষমতা দেওয়া হলে নিরপেক্ষতা বিঘ্নিত হতে পারে। কোনও জমি ওয়াকফ সম্পত্তির বলে ঘোষণা করা হলে মালিকের সম্মতি ছাড়াই সেটি দখল করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- হাতের রেখাতেই লুকিয়ে আপনার সৌভাগ্য, এই চিহ্নগুলো চিনে নিজের ভাগ্য নিজেই দেখে নিন
গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ: সংবিধানের ১৪ ও ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সমান অধিকার ও সম্পত্তির অধিকার নতুন আইনে লঙ্ঘন হচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন।
নির্বাচনের অভাব ও দুর্নীতি: অনেক রাজ্যে ওয়াকফ বোর্ডের সদস্যরা, মনোনয়নের মাধ্যমে নির্বাচিত হচ্ছেন না। এর ফলে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির সম্ভাবনা বাড়ছে বলে অভিযোগ।
অ-মুসলিমদের জমিও ওয়াকফ ঘোষণার অভিযোগ: বেশ কয়েকটি রাজ্যে এমন অভিযোগ উঠেছে যে, হিন্দু বা অ-মুসলিমদের জমিও একতরফাভাবে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, যা গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।
আইনি সুরক্ষার ঘাটতি: একবার কোনও জমি ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত হলে, তা ফেরত পেতে দীর্ঘ আইনি লড়াই করতে হয়, এবং প্রমাণের ভার জমির মালিকের ওপর চাপানো হয়।
বিচারব্যবস্থা কী বলছে?
বিভিন্ন হাইকোর্টে এই আইনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে এই আইনের সংবিধানিক বৈধতা নিয়েও। আদালত এখনও কোনও চূড়ান্ত রায় না দিলেও, প্রাথমিকভাবে শুনানি গ্রহণ করেছে।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া:
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করছে। কেউ বলছে, এটি সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়, আবার কেউ মনে করছেন এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং জনস্বার্থের বিরোধী।
আরও পড়ুন- কবে খুলছে কেদারনাথ ও বদ্রীনাথ মন্দির? জেনে নিন এবারের চারধাম যাত্রার গাইডলাইন
নতুন ওয়াকফ আইন দেশের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোর এক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। আইনি চ্যালেঞ্জ ও গণবিরোধিতার পরিপ্রেক্ষিতে এই আইন কতটা টিকে থাকে, তা সময় বলবে। তবে এর মধ্য দিয়ে ধর্মীয় সম্পত্তির নিয়ন্ত্রণ এবং সংবিধানিক অধিকার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার দরজা খুলে গিয়েছে, যা ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।