The Mystic Realm of Garh Chandi Dham: Secrets and Spiritual Wonders of Yogiraj Brahmananda Giri: তিনি নাকি মরা মানুষকেও বাঁচিয়ে তুলতে পারেন। নিজের ওপর এতটাই আস্থা যোগীরাজ ব্রহ্মানন্দ গিরির। তাঁর দাবি কারও কাছে কখনও হাত পাতেন না। তাঁর আশ্রম চত্বরের ভিতরে রয়েছে বেশ কয়েকটি মন্দির। সেখান অখণ্ড প্রদীপ জ্বলে বারোমাস। সেই প্রদীপ জ্বালাতে টিনের পর টিন তেল লাগে। মন্দির চত্বরে রয়েছে ১০০টি গরু। তাদের সেবার দায়িত্ব মন্দিরের। এতসব খরচ কীভাবে মেটান? সবটাই নাকি তাঁর তপস্যার (pujo) ফল। আর ঈশ্বরের কৃপা। এমনটাই দাবি এই মহারাজের।
যোগীরাজ ব্রহ্মানন্দ গিরির এই আশ্রম দুর্গাপুরের কাঁকসা ব্লকের গড়জঙ্গলের মধ্যে তাঁর আশ্রম। নাম গড়চণ্ডীধাম। এখানেই নাকি দুর্গাপূজার প্রচলন করেছিলেন চণ্ডীতে উল্লিখিত মহারাজা সুরথ ও সমাধি বৈশ্য বণিক। তারপর থেকেই নাকি দুর্গাপূজার প্রচলন হয়। বসন্তকালে সূচনা হয় দেবী দুর্গার পুজোর। যা বাসন্তী পুজো নামে পরিচিত। বিভিন্নজনের দাবি রাজা সুরথের রাজধানী ছিল বীরভূম জেলার বোলপুরের সুপুরে। সেই সুপুর থেকে ৪৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অজয় নদের দক্ষিণ প্রান্তে শাল, সেগুন, মহুয়ার গভীর জঙ্গলে ছিল মহর্ষি মেধসের আশ্রম। সেই আশ্রমই এখনকার গড় চণ্ডীধাম।
এখানে দুর্গাপুজো করার পরই নাকি মহারাজা সুরথ রাজত্ব ফিরে পেয়েছিলেন। আর, সমাধি বৈশ্য বণিক লাভ করেছিলেন আত্মজ্ঞান। এই মন্দির ভেদ করে উঠেছে একটি বটবৃক্ষ। তা অত্যন্ত প্রাচীন। মহর্ষি ব্রহ্মানন্দের এই আশ্রমে ওই বটবৃক্ষের মতই ছড়ানো রয়েছে নানা জিনিস। যা এখানকার স্থানমাহাত্ম্যের ঐতিহ্য সম্পর্কে প্রমাণ দেয়। গুরু পরম্পরায় এই সন্ন্যাসী শিখেছেন যোগাভ্যাসের নানা কৌশল। এছাড়াও শিখেছেন নানা গুপ্তবিদ্যা। যা তিনি আশ্রমে শিক্ষাকেন্দ্র তৈরি করে সেখানকার শিক্ষার্থীদের শিখিয়ে দিয়ে যেতে চান। এছাড়া যাঁরা গবেষণা করতে চান, তাঁদেরকেও তিনি নিজের আশ্রমে স্বাগত জানাতে তৈরি।
আরও পড়ুন- সিদ্ধসাধক রাঙাঠাকুর! ভক্তদের কাছে মুশকিল আসান, জীবন্ত কিংবদন্তি
জঙ্গলঘেরা তাঁর এই আশ্রমে অলৌকিকত্বের অগুণিত নির্দশন আছে বলেই দাবি এই সন্ন্যাসীর। তিনি জানান, দরজা বাইরে থেকে বন্ধ, আশ্রমের এমন ঘরে প্রদীপের তেল শেষ হয়ে যাওয়ার পর কে যেন প্রদীপের তেল ভরে দিয়ে গিয়েছে। এমন ঘটনারও সাক্ষী তিনি নিজেই।
আরও পড়ুন- যে মন্দির থেকে খালি হাতে ফেরেন না ভক্তরা, পূরণ হয় মনস্কামনা, সারে দুরারোগ্য রোগও
কীভাবে পৌঁছবেন এই গড় চণ্ডীধামে?
কলকাতা থেকে পানাগড় রেল স্টেশনে নেমে আসতে হবে দুর্গাপুরের মুচিপাড়াতে। অথবা দুর্গাপুর (Durgapur) স্টেশনে নেমেও চলে আসতে পারেন মুচিপাড়ায়। সেখান থেকে টোটো বা অটো ধরে পৌঁছে যেতে পারেন ১৭ কিলোমিটার দূরে গড় চণ্ডীধামে (Temple)।