What can you do to ensure you do not fall victim to cybercriminals: দুনিয়া ক্রমশ ডিজিটালের পথে হাঁটার পর থেকে সাইবার অপরাধের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। অপরাধীরা হামেশাই প্রতারণার জন্য সাধারণ মানুষকে নিশানা করছে। তাঁদের ফোন করছে। ফোনে কখনও অবৈধ পণ্য পৌঁছে দেওয়ার অফার দিচ্ছে। কখনও ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার নামে জাল ওষুধ সরবরাহ করছে। কখনও পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়ার নামে জাল পাসপোর্ট ধরিয়ে দিচ্ছে। কখনও আবার ওটিপি জেনে নিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লুঠ করছে।
অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ
এসব রুখতে সাইবার অপরাধীদের, 'ডিজিটাল গ্রেফতারি'র পথে হাঁটছে কেন্দ্রীয় সরকার। মাইক্রোসফটের সহযোগিতায় অনলাইনে ভয় দেখানো, ব্ল্যাকমেইল করা এবং তোলাবাজির জন্য ব্যবহৃত ১,০০০টিরও বেশি স্কাইপে আইডি ব্লক করার পথ বেছে নিয়েছে কেন্দ্র। এইজাতীয় কোনও সাইবার অপরাধ ঘটলেই সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ দায়েরের পরামর্শও দিয়েছে সরকার।
ডিজিটাল অপরাধ
বহু ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে যে, অনলাইন জালিয়াতিতে যুক্ত অপরাধীরা তাঁদের শিকারদের ফোন করেছে। ফোনে জানিয়েছে- কোনও পণ্য, ওষুধ, পাসপোর্ট বা কোনও জিনিস পাঠিয়েছে। তার জন্য ওই ব্যক্তিদের কাছে ওটিপি গিয়েছে। তার ভিত্তিতে সেই ওটিপি তাঁদেরকে ফোনে জানাতে হবে বলেও সাধারণত হুমকি দিয়ে থাকে অপরাধীরা।
কিছু ক্ষেত্রে আবার, অপরাধীরা যে ব্যক্তিদের শিকার হিসেবে বেছে নেয়, তাঁদের আত্মীয় বা বন্ধুদের সঙ্গেও যোগাযোগ করে। তাঁদের বলে যে ওই ব্যক্তি এক বড় সমস্যা বা দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে। অবিলম্বে অনলাইনে অর্থ দিতে হবে। আর, এভাবেই সাইবার অপরাধীরা শিকার বা তার আত্মীয়দের থেকে অর্থ হাতিয়ে নয়।
ডিজিটালি গ্রেফতার
অপরাধীরা নিজেদের বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণ করতে হামেশাই পুলিশ কর্মীদের ছবি বা পরিচয় ব্যবহার করে। মামলায় 'সমঝোতা' করা বা মামলা বন্ধ করার জন্য নামে শিকারের থেকে অর্থ দাবি করে। কিছু ক্ষেত্রে, শিকার বা ভুক্তভোগীদের 'ডিজিটালি গ্রেফতার' করা হয়। দাবি পূরণ না-হওয়া পর্যন্ত ভুক্তভোগীদের স্কাইপে বা অন্যান্য ভিডিও কনফারেন্সিং প্ল্যাটফর্মে অপরাধীদের কাছে দৃশ্যমান থাকতে বাধ্য করা হয়। সাইবার অপরাধীরা এক্ষেত্রে থানা বা সরকারি অফিসের মত দেখতে স্টুডিও ব্যবহার করে। আর, পুলিশের মত ইউনিফর্ম পরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকে।
সাইবার প্রতারণার হাজারো অভিযোগ
এই ভাবে সাইবার প্রতারণার হাজারো অভিযোগ জমা পড়েছে ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টাল অর্থাৎ এনসিআরপিতে। সেখানে সাইবার অপরাধীদের ভয় দেখানো, ব্ল্যাকমেল, তোলাবাজি এবং ডিজিটালি গ্রেফতার সম্পর্কে পুলিশ অফিসার, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই), নারকোটিক্স ডিপার্টমেন্ট, রিজার্ভ ব্যাংকের কাছে প্রচুর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- বিশ্ব রাজনীতিতে দ্রুত বদল! চিনে রুশ প্রেসিডেন্ট, উদ্বেগে কেন্দ্রীয় সরকার
পুলিশ জানিয়েছে
পুলিশ জানিয়েছে, যাঁরা এই ধরনের কল পেয়েছেন, তাঁদের অবিলম্বে সাইবার ক্রাইম হেল্পলাইন ১৯৩০ বা www.cybercrime.gov.in-এ ঘটনাটি রিপোর্ট করতে হবে। পাশাপাশি, স্থানীয় পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানাতে হবে।