China Shock: সৌর সরঞ্জাম, বৈদ্যুতিক যানবাহন এবং সেমিকন্ডাক্টরের মত বিভিন্ন ক্ষেত্রে চিনা পণ্যগুলির একটি নতুন তরঙ্গ আন্তর্জাতিক বাজারকে প্রভাবিত করতে চলেছে। 'চায়না শক ২.০' নামে যা আছড়ে পড়তে চলেছেন বিশ্ববাজারে। এতে ভারত-সহ একডজনেরও বেশি দেশ দেশীয় সংস্থার উৎপাদনে ভর্তুকি দেওয়ার রাস্তা নিচ্ছে। এই রাস্তা কয়েক বছরে ঘটে যাওয়া উৎপাদন এবং লোকসানের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কায় নেওয়া হচ্ছে। গোটা সমস্যার সূত্রপাত হয়েছে চিন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) যোগদানের পর থেকেই।
২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে, যখন ডব্লিউটিও (WTO)-তে চিনের প্রবেশ পশ্চিমের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল, তখন প্রশ্ন উঠেছিল চিন কি 'পরবর্তী মহান পুঁজিবাদী বাঘ' হবে নাকি 'বিশ্বের শেষ মহান কমিউনিস্ট ড্রাগন' হয়ে থাকবে? তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, ডব্লিউটিওতে চিনের যোগদানের সমর্থনে যুক্তি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে ডব্লিউটিও-তে যোগদানের মাধ্যমে অর্থনৈতিক একীকরণ চিনকে রাজনৈতিক সংস্কার করতে বাধ্য করবে। ক্লিন্টন বলেছিলেন, বেইজিং কেবলমাত্র আরও বেশি আমেরিকান পণ্য আমদানি করতেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়। বরং, 'গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতার পথকে আলিঙ্গন করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'
চিনের ডব্লিউটিওতে যোগদান
কিন্তু, বাস্তবে দেখা গেল যে চিন ২০০১ সালের ডিসেম্বরে ডব্লিউটিওতে যোগদানের পর, বাজার অর্থনীতির পরিবর্তে, রাষ্ট্র-সমর্থিত পুঁজিবাদকে প্রশ্রয় দিল। ডব্লিউটিও-তে চিনের প্রবেশের পরের বছরগুলো বিশ্বের অর্থনীতির কাছে 'চায়না শক' হিসেবে পরিচিতি লাভ করল। কারণ, সস্তা চিনা পণ্য বিশ্ববাজার প্লাবিত করল। যার ফলে আন্তর্জাতিকভাবে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হল। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হল ভারত। ভারতের বাজার চিনের পণ্য ছেয়ে ফেলল। এবার ফের তেমনই কিছু নতুন করে ঘটতে চলেছে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন- তিরুপতির লাড্ডু বিতর্ক! মন্দিরগুলোর ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ বন্ধের দাবিতে ব্যাপক হইচই
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), চলতি মাসের শুরুর দিকে একটি ব্লগে বলেছে, দুর্বল অভ্যন্তরীণ চাহিদার কারণে রফতানিকে উদ্দীপিত করতে এবং তাদের আর্থিক বৃদ্ধি ঘটাতে চিন নতুন শিল্পনীতি তৈরি করেছে। যা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর অর্থনীতিতে আঘাত হানতে পারে। যার নাম হতে পারে, 'চিন শক ২.০'।