দেশে যে হারে করোনা সংক্রামিত হচ্ছে সেখানে যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে করোনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা। এই মুহুর্তে ভারতে দৈনিক গড়ে ১০ লক্ষ করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। কিন্তু ১৪০ কোটির দেশে সকলের পক্ষে করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না অর্থের জন্যও। তাই দেশের মানুষের সুবিধার্থে সিআইএসআর এবং টাটা গ্রুপের গবেষণা দলের নেতৃত্ব দেওয়া দেবজ্যোতি চক্রবর্তী এবং সৌভিক মাইতির দল নিয়ে এল ‘ফেলুদাকে’।
জানা গিয়েছে ৩০ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে মানবদেহে কোভিড-১৯ ভাইরাসের উপস্থিতি সনাক্ত করতে সক্ষম হবে ‘ফেলুদা’। স্বল্প মূল্যের ‘পেপার বেসড টেস্ট স্ট্রিপ’-এর মাধ্যমে পরীক্ষাটি করা হবে। ইতিমধ্যেই এই পরীক্ষা শুরু করার অনুমতি দিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। প্রখ্যাত লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদার নামকরণেই এই করোনা পরীক্ষার নামকরণ করা হয়েছে।
এই ফেলুদা কোভিড-১৯ টেস্ট আসলে কী?
এই ফেলুদার অবশ্যি একটি বৈজ্ঞানিক নাম আছে, তা হল- FNCAS9 এডিটর লিঙ্কড ইউনিফর্ম ডিটেকশন অ্যাসে। এটি একটি জিন এডিটিং টেকনোলজি। যার মাধ্যমে মানবদেহে যদি সারস কোভ-২ ভাইরাস থেকে থাকে তবে তাঁকে সহজেই সনাক্ত করা যায়। একেবারে দেশিয়ভাবেই তৈরি করা হয়েছে এই পরীক্ষা পদ্ধতিটি। তবে চিন্তার কিছু নেই এই পরীক্ষাটি আর আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ফলাফলের মধ্যে কিন্তু কোনও ব্যবধান নেই। বরং অনেক অল্প সময়ে স্বল্প খরচে কোভিদের সন্ধান দিতে পারছে ‘ফেলুদা’।
আরও পড়ুন, করোনার মাঝেই ব্রুসেলোসিস ব্যাক্টেরিয়ার হানা, আক্রান্ত ৩ হাজারেরও বেশি
সিআইএসআরের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ” সিএসআইআর-আইজিআইবি (জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি ইনস্টিটিউট) দ্বারা পরিচালিত টাটা সিআরআইএসপিআর পরীক্ষাটি উচ্চমানের মানদণ্ডের সঙ্গে পর্যালোচনা করা হয়েছে। যেখানে ৯৬ শতাংশ সংবেদনশীলতা এবং ৯৮ শতাংশ স্পষ্টতা-সহ করোনভাইরাস সনাক্ত করতে পেরেছে এই পরীক্ষা।”
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Get all the Latest Bengali News and West Bengal News at Indian Express Bangla. You can also catch all the Explained News in Bangla by following us on Twitter and Facebook
Web Title: