হলদোয়ানি মামলায় উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট রেলের জমিতে বসবাসকারী ৪,০০০ পরিবারকে জোর করে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছিল। এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বিষয়টির একটি মানবিক দিক রয়েছে। আর, সেই কারণেই উচ্ছেদ করতে হলে পুনর্বাসন দেওয়া জরুরি। এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, এই সব জমি লোকজন নিলামে কিনেছে। ৬০-৭০ বছর ধরে ওই একই জায়গায় বসবাস করছে। তাই তাঁদের পুনর্বাসন দিতেই হবে।
আদালত কী বলেছে?
গত বছরের ২০ ডিসেম্বর, উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট রেলকে নির্দেশ দিয়েছিল যে বাসিন্দাদের একসপ্তাহ সময় দিতে। তারপর উচ্ছেদ করতে। দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী বাহিনী ব্যবহারের নির্দেশও দিয়েছিল আদালত। বৃহস্পতিবার এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ওই জায়গায় ৫০ হাজার মানুষ থাকেন। তাঁদের সাত দিনের সময় দিয়ে উচ্ছেদ করা যায় না। এমনটাই জানিয়েছে বিচারপতি এসকে কউল ও বিচারপতি এএস ওকার বেঞ্চ।
প্রথমে মামলাটা যায় হাইকোর্টে
এই মামলা ২০১৩ সালে প্রথমে হাইকোর্টে যায়। সেই মামলায় রবিশংকর জোশী হলদোয়ানি রেলওয়ে স্টেশনের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গৌলা নদীতে অবৈধ বালি খননের বিরুদ্ধে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। শুনানি চলাকালীন অভিযোগ ওঠে যে, স্টেশনের পাশে অবৈধভাবে বসবাসকারী কিছু লোক এই খননকার্যের সঙ্গে জড়িত। এই মামলায় যখন রেলকে পার্টি করা হয়, ২০১৬ সালে সেই সময় হাইকোর্ট অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে বলে।
আরও পড়ুন- লোকসভা নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই লক্ষ্য স্থির করেছে বিজেপি, কখন এবং কোথায়?
পরে যায় সুপ্রিম কোর্টে
পালটা, ওই অবৈধ দখলদাররা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে ২০১৭ সালে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টকে নির্দেশ দেয় যে রেলের জমিতে বসবাসকারীদের বক্তব্যও শুনতে হবে। এরপর ২০২২ সালের উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট আবার রেলকে জানিয়ে দেয় যে ওই জমি খালি করতে হবে। ১৭৬ পাতার রায়ে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট জানায় যে, রাজনৈতিক ঢাল ব্যবহার করে দখলদাররা বেঁচে যাচ্ছেন। এটা ভোটব্যাংক রাজনীতির উদাহরণ।
Read full story in English