হিন্দুত্ববাদী নেতা দামোদর বিনায়ক সাভারকার সম্পর্কে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাম্প্রতিক মন্তব্যে মহারাষ্ট্রে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেসের সহযোগী শিবসেনার প্রধান উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন যে তিনি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে একমত নন।
ব্রিটিশের কাছে সাভারকারের ক্ষমাভিক্ষা
ব্রিটিশদের কাছে সাভারকারের ক্ষমাভিক্ষার চিঠি পড়েছেন রাহুল। সেই চিঠিতে সাভারকার নিজেকে ব্রিটিশদের একজন বাধ্য সেবক বলেছেন। এই ব্যাপারে রাহুলের প্রশ্ন, 'এটা কি মহাত্মা গান্ধী, সর্দার প্যাটেল এবং পণ্ডিত নেহরুর মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিশ্বাসঘাতকতা ছিল না? কারণ, তাঁরা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু, কখনও ব্রিটিশদের সামনে মাথানত করেননি।'
'বীর' উপাধি নিয়ে প্রশ্ন
সাভারকার একজন বহুল আলোচিত ব্যক্তিত্ব। কারণ, তিনি বিভিন্ন বিষয়ে কঠোর অবস্থানের পাশাপাশি যুক্তিবাদী অবস্থানও গ্রহণ করেছেন। গরুকে তিনি শুধুমাত্র একটি উপকারী প্রাণী হিসেবে দেখতেন। যা অনেক কট্টরপন্থী হিন্দুরই পছন্দ ছিল না। আন্দামানের সেলুলার জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ব্রিটিশদের প্রতি তাঁর নরম মনোভাব 'বীর' (এই উপাধিটি সাভারকার নিজের জন্য ব্যবহার করেছেন।) উপাধি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে।
আরও পড়ুন- জেলে হঠাৎ অসুস্থ অনুব্রত, নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে
স্বাধীনতা সংগ্রামী না হিন্দুত্ববাদী নেতা?
শুধু তাই নয়, স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে সাভারকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। তবে, যেটা প্রশ্নতীত বিষয়, তা হল সাভারকার প্রথমসারির হিন্দুত্ববাদী নেতা ছিলেন। ১৯২৩ সালে প্রকাশিত তাঁর গ্রন্থ, 'হিন্দুত্বের অপরিহার্যতা'-এ সাভারকর নিজের নানা বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বিশদে তুলে ধরেছেন।
সাভারকারের ভাবনা
সাভারকার মনে করতেন হিন্দুধর্ম আর হিন্দুত্ব আলাদা। আর, এই জন্যই তিনি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নামের ব্যবহারে জোর দিয়েছেন। যেমন যিশু মারা গিয়েছেন। কিন্তু, খ্রিস্ট টিকে গিয়েছেন। রোম সম্রাট এবং রোমান সাম্রাজ্যও তার কিছু করতে পারেনি। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন ম্যাডোনা বললে যেমন চেহারা চোখে ভাসে, ফতিমা বললে তেমন ভাসে না। সাভারকার মনে করতেন, এই নাম আসলে এক স্বীকৃতি। যার আরাধনার মধ্যে দিয়ে ঈশ্বরিক মাতৃত্ব এবং ভালোবাসা উপস্থিতির চেতনায় মিশে যায়। সাভারকার মনে করতেন হিন্দুধর্ম হল হিন্দুত্বের একটি অংশ। তিনি মনে করতেন রামের লঙ্কা জয় হল হিন্দু জনগণের প্রকৃত জন্মদিন।
Read full story in English