দ্বিতীয়বারের জন্য মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০২০ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কী ভাষণ দেবে সেদিকেই এখন তাকিয়ে দেশ। ২০১৯ সালের ১৫ অগাস্টের পর কম কিছু হয়নি দেশে। ৩৭০ ধারা বিলোপ, এনআরসি, রামমন্দিরের সুপ্রিম রায় থেকে মন্দির নির্মাণ। এছাড়াও ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা এবং করোনা ইস্যু রয়েছে। সম্প্রতি রামমন্দিরের ভূমিপুজোয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপস্থিতি নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এ বছর স্বাধীনতা দিবসে তাই নমোর বক্তব্যে কোন দিকটিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে তা এখন আলোচনায় উঠে আসছে।
ভূমিপুজো থেকে নরেন্দ্র মোদী রাম মন্দির নির্মাণের মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতকে সাংস্কৃতিক মুক্তির সংস্করণের সঙ্গে তুলনা করে বিজেপি / আরএসএসের দাবিকে ভারতের সাংস্কৃতিক পরিচয় হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। তবে ১৫ অগাস্ট ভারতের কাছে উল্লেখযোগ্য একটি দিন। সেদিন লালকেল্লা থেকে দেশের উদ্দেশে কী বার্তা দেন মোদী সেদিকে তো নজর থাকবেই।
আরও পড়ুন, সেনা সরঞ্জাম প্রস্তুত করতে ভারত কি তৈরি?
গত বছরে মোদীর ভাষণের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি ছিল তিন তালাক আইন প্রণয়ন, জম্মু-কাশ্মীরের থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার বিষয়টি। তিনি এও বলেন, "গত ৭০ বছরে যে কাজ করা হয়নি তা এই নতুন সরকার এসে ৭০ দিনের মধ্যে শেষ করেছে।" মোদী এও বলেন, "২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছেছি আমরা। এভাবেই যদি চলতে থাকি তবে আগামী ৫ বছরে আমরা ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে পৌঁছে যাব।"
কিন্তু বদলে গেল ২০২০-এর পরিস্থিতি। করোনা ঝড়ে সব ওলটপালট। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, ব্যবসাবাণিজ্য সবের হিসেব বেহিসেবি হয়ে গিয়েছে। দেশের জন্য আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার পর জিডিপি নেমেছে শূন্যতে। ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি বাস্তব থেকে স্বপ্নে পর্যবসিত হয়েছে।
তাই এবারের স্বাধীনতা দিবসে ভারতের আর্থিক ক্ষেত্র নিয়ে কী বলেন প্রধানমন্ত্রী তা লক্ষনীয়। ওয়াকিবহাল মহলের মত বিজেপির যে রাজনৈটিক অ্যাজেন্ডা তাকেই সামনে রাখতে চাইবেন মোদী। কীভাবে দলের টাকা দেশের কল্যাণে ব্যবহার করা হয়েছে সেই বিষয়টিকেও অগ্রাধিকার দিতে পারেন নমো।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন