অযোধ্যার রাম মন্দির কার দায়িত্বে? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দিকে এবার এই প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। পেশায় আইনজীবী খাড়গের স্পষ্ট কথা, রাম মন্দির নিয়ে কথা বলাটা অমিত শাহের কাজ না। সম্প্রতি ত্রিপুরা সফরে এক সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান কবে, রাম মন্দির চালু হবে। সেই কথা মাথায় রেখে খাড়গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছেন যে শাহ সাংবিধানিক পদে রয়েছেন। এই পদে থেকে তিনি কিছুতেই পদের অমর্যাদা করতে পারেন না। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করতে পারেন না। তাই মন্দির কবে থেকে চালু হবে, সেটা বলাটা অমিত শাহের কাজ না।
খাড়গে কী বলেছেন?
হরিয়ানার পানিপথে এক সমাবেশে খড়গে বলেন, 'আপনি কি রাম মন্দিরের পূজারী? আপনি কি রাম মন্দিরের মহন্ত? মহন্ত, সাধু-সন্তরা এবিষয়ে কথা বলুক। মন্দির খোলার কথা বলার কে আপনি? আপনি একজন রাজনীতিবিদ। আপনার কাজ হল দেশকে সুরক্ষিত রাখা, আইন বজায় রাখা এবং মানুষের জন্য খাদ্য নিশ্চিত করা এবং কৃষকদের পর্যাপ্ত দাম দেওয়া।'
কেন বলেছেন?
সরকার ও তাঁর দলে শাহের মর্যাদা এবং অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে, তাঁর যে কোনও বক্তব্যই গুরুত্ব বহন করবে। সেই কথা মাথায় রেখেই খাড়গে সমালোচনায় এমনটা জানিয়েছেন। সেই প্রশ্ন তুলে দিয়েই খাড়গে জানতে চেয়েছেন, কারিগরিভাবে মন্দির সম্পর্কে ঘোষণা করা কার কাজ হবে? কোন সংস্থা মন্দির নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে? এর সদস্য কারা?
আরও পড়ুন- ‘এবার কি প্রধানমন্ত্রীর পা ধরব?’, ১০০ দিনের বকেয়া নিয়ে মমতার তোপ কেন্দ্রকে
অযোধ্যা রাম মন্দির নির্মাণের দায়িত্বে কে?
সুপ্রিম কোর্ট ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভেঙে ফেলা বাবরি মসজিদ মামলার রায়ে জানিয়েছিল যে অযোধ্যায় ২.৭৭ একর বিতর্কিত জমি রাম মন্দির নির্মাণের জন্য একটি ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তিন মাসের মধ্যে এই ট্রাস্ট গঠন করার কথা ছিল। তদনুসারে, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট (SRJBTKshetra) কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০-এ লোকসভায় ট্রাস্ট গঠনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। ট্রাস্টের ১৫ জন সদস্য রয়েছে, যার মধ্যে ১২ জন ভারত সরকার মনোনীত করেছিল এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম সভায় তিন জনকে নির্বাচিত করা হয়েছিল।
Read full story in English