Advertisment

Explained: ফেসবুকের নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেটার ব্যাপক কর্মীছাঁটাই, তারপর কী করবেন জুকেরবার্গ?

এর আগে এলন মাস্কের মালিকানাধীন টুইটার এবং মাইক্রোসফট কর্পোরেশনও কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Mark Zuckerberg

ফেসবুকের অভিভাবক সংস্থা মেটা ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে। যা এই সংস্থার মোট কর্মশক্তির প্রায় ১৩ শতাংশ। সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মার্ক জুকেরবার্গ বুধবার এক চিঠিতে কর্মীদের এই ছাঁটাইয়ের কথা জানিয়ছেন। মেটার ১৮ বছরের ইতিহাসে এমন ব্যাপকহারে কর্মীছাঁটাই বা গণছাঁটাই প্রথমবার ঘটল। এর আগে এলন মাস্কের মালিকানাধীন টুইটার এবং মাইক্রোসফট কর্পোরেশনও কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেছে। এখন প্রশ্ন হল, মেটার এই ব্যাপকহারে কর্মী ছাঁটাইয়ে ভারতীয় শ্রমিকরা কীভাবে প্রভাবিত হবেন? কেনই বা একসঙ্গে এতজন কর্মীকে ছাঁটাই করলেন জুকেরবার্গ? এরপর তিনি কী করতে যাচ্ছেন?

Advertisment

মেটা কী করেছে?

খরচ বাঁচানোর ব্যবস্থা করেছে। খরচ বাড়ছিল, কিন্তু, বিজ্ঞাপন কমছিল। তাই বিপুল পরিমাণ কর্মী ছাঁটাই করে খরচ বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছে, আগামী তিন মাস অতিরিক্ত সব খরচ বন্ধ। নিয়োগ তো দূরের ব্যাপার। এতবড় পদক্ষেপ নেওয়ার আগে মেটা তার কর্মীদের বেশ কিছু সুবিধা প্রত্যাহার করেছিল। যেমন, বিনামূল্যে লন্ড্রি এবং ড্রাই ক্লিনিং পরিষেবা, নৈশভোজ, পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে নিয়ে এসে রাখার খরচ দেওয়ার বন্ধ করে দিয়েছিল।

মেটা আচমকা খরচ বাঁচাচ্ছে কেন?

একটা কারণ হল, আয় বাড়ছে না কিন্তু, খরচ বাড়ছে। আরেকটা কারণ হল, এই সংস্থা মেটাভার্স প্রকল্পে অর্থ ঢালছে। করোনা আবহে প্রযুক্তি সংস্থাগুলো কর্মীদের বাড়িতেই থাকতে বাধ্য করেছিল। সেখান থেকেই কর্মীরা সংস্থার জন্য কাজ করছিলেন। আগের চেয়ে বেশি সময় ধরে তাঁরা কাজ করছিলেন সংস্থার জন্য। কিন্তু, করোনা অতিমারি এখন আর আগের মত সক্রিয় নয়। তার ওপর টিকটকের মত সংস্থাগুলো প্রতিযোগিতা বাড়িয়েছে। কার্যত, সেসব জুকেরবার্গ চিঠিতে জানিয়েছেন। অবশ্য কিছু বিষয় তিনি চিঠিতে সরাসরি উল্লেখ করেননি, কিন্তু, ইঙ্গিত দিয়েছেন।

আরও পড়ুন- গণছাঁটাইয়ের পথে Meta, ১১ হাজার কর্মীকে বাদের ঘোষণা ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের

ক্ষতি আরও বাড়বে

তবে, মেটাভার্সে বিনিয়োগ নিয়ে মেটার শেয়ার হোল্ডাররা খুশি নন। মেটা তার মেটাভার্স প্রকল্পের জন্য বছরে হাজার কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করছে। যার জেরে বহু শেয়ার হোল্ডার তাঁদের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। বছরের শুরু থেকে সেটা এখনও পর্যন্ত ৭১ শতাংশ ছাড়িয়েছে। আর, মেটার শেয়ারের দামও কমে গিয়েছে। বিভিন্ন প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে, মেটাভার্স প্রকল্পের অংশ রিয়েলিটি ল্যাবস ইতিমধ্যে ৩৬৭ মার্কিন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে। ২০২০ থেকেই অবশ্য এই রিয়েলিটি ল্যাবসের ক্ষতি ধারাবাহিকভাবে বাড়ছিল। সংস্থার ধারণা, আগামী বছর এই ক্ষতি কয়েকগুণ বাড়তে পারে।

Read full story in English

Facebook twitter Mark Zuckerberg
Advertisment