এসএলবিএম (SLBM) উৎক্ষেপণ করল আইএনএস অরিহন্ত। পারমাণু অস্ত্র প্রতিরোধের জন্য ভারতের এই পরীক্ষায় সফল হওয়া দরকার। পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিন আইএনএস অরিহন্ত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে রয়েছে এই সাবমেরিন। এখান থেকে পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
পরীক্ষা সফল
ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে তার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। এতে স্বস্তির শ্বাস ফেলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। কারণ, পরমাণু অস্ত্রের হামলা ঠেকাতে উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োজন। আগামী দিনে ভারতের সঙ্গে কোথাও যুদ্ধ হলে, এই ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা ঠেকাতে পারবে ভারত। আইএনএস অরিহন্তের সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ পরীক্ষায় তা প্রমাণিত হল।
পরমাণু অস্ত্রহানার জন্য তৈরি সাবমেরিন
দেশের প্রথম স্ট্র্যাটেজিক স্ট্রাইক নিউক্লিয়ার সাবমেরিন আইএনএস অরিহন্ত। সেখান থেকে এই এসএলবিএমের পরীক্ষা করা হল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, পরীক্ষা সফল হওয়ায় ভারত আগামী দিনে পরমাণু অস্ত্র রোখার মত ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি এবং পরীক্ষায় এগিয়ে যেতে পারবে। ভারতীয় নৌবাহিনী যে পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করতে পারবে, এই পরীক্ষায় তা প্রমাণিত হয়েছে। বাহিনীর জওয়ানরাও নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। এনিয়ে তাঁরা ভবিষ্যতে অন্য সহকর্মীদেরও প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন।
প্রথম হামলা ভারত চালাবে না
তবে, ভারত যতই পরমাণু অস্ত্র প্রতিরোধ এগিয়ে যাক না-কেন, প্রথম হামলা নয়াদিল্লি কখনও চালাবে না। এটা নিশ্চিত বলেই জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তবে, পরীক্ষা সফল বললেও, কোথায় পরীক্ষা চালানো হয়েছে? এই ক্ষেপণাস্ত্র কতদূরে গিয়ে আঘাত হানতে পারবে? এটা কি সাগরিকা বা কে-১৫ শ্রেণির ক্ষেপণাস্ত্র? এই সব নিয়ে রা কাড়েনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
আরও পড়ুন- বাড়ির বাগানেই পরপর গুলি! ফের উপত্যকায় খুন কাশ্মীরি পণ্ডিত
পরিকল্পনা চলেছিল দীর্ঘদিন ধরে
যে সাবমেরিন থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে, তার তৈরির পরিকল্পনা ১৯৯০ থেকে শুরু করেছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। অ্যাডভান্সড টেকনোলজি ভেসেল (এটিভি) প্রকল্পের আওতায় ২০০৯ সালে তৈরি হয় আইএনএস অরিহন্ত। এই সাবমেরিনকে সমুদ্রে কাজে লাগানো শুরু হয় তারও কয়েকবছর পর ২০১৬ সালে। দেশের প্রথম পরমাণু অস্ত্রবাহী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে সক্ষম এই সাবমেরিন।
বিশেষ বাহিনী এর নিয়ন্ত্রক
অরিহন্ত এবং তার শ্রেণির সাবমেরিনগুলোকে 'এসএসবিএন' শ্রেণিতে ফেলা হয়। নৌবাহিনী এই সাবমেরিন চালালেও, সেখান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মত কাজগুলো দেখভাল করছে ভারতের কৌশলগত বাহিনী। এই কৌশলগত বাহিনী আবার দেশের পরমাণু অস্ত্র দেখভালের জন্য তৈরি নির্দিষ্ট বাহিনীর অংশ।
Read full story in English