Election Results Haryana 2024: কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যেও হরিয়ানার নির্বাচনী ফলাফলে এগিয়ে বিজেপি। ইভিএম গণনা শুরুর পর থেকেই বিজেপি ভালো মানের লিড বজায় রেখেছে। গণনার শেষ চার ঘন্টা ধরে ৪৯টি আসনে এগিয়ে। এক্সিট পোল কিন্তু, অন্য কথা বলেছিল। জানিয়েছিল যে কংগ্রেসই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। বিজেপি হরিয়ানায় টানা তৃতীয়বার জয় পেলে তা হবে ঐতিহাসিক। আর, এই জয় হবে পরীক্ষিত নির্বাচনী হিসেবনিকেশের ফল। এই হিসেব হল, সমস্ত অ-জাট ভোটের একীকরণ। হরিয়ানায় জাঠরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। ধরা হচ্ছে, তাঁরা এবার কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে।
হরিয়ানায় নির্বাচনের ফলে জাঠ প্রভাব
হরিয়ানার ৯০টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৪০টিতেই জাঠরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। ১৯৬৬ সালে যখন হরিয়ানাকে পঞ্জাব থেকে আলাদা করা হয়, তারপর থেকে জাঠ সম্প্রদায়ের মুখ্যমন্ত্রীরা ৩৩ বছর ধরে রাজ্য শাসন করেছেন। যদিও হরিয়ানার প্রথম এবং দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী ভাগবত দয়াল শর্মা ও রাও বীরেন্দ্র সিং অ-জাট ছিলেন। তবে, অ-জাট মুখ্যমন্ত্রীদের মেয়াদ ছিল সংক্ষিপ্ত। ব্যতিক্রম ভজন লাল। তিনি হরিয়ানার সবচেয়ে বেশি সময় ধরে মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন। ১১ বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় এসে হরিয়ানায় জাঠ সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের নেতা ভূপিন্দর সিং হুডার এক দশকের শাসনের অবসান ঘটায়। শুধু তাই নয়। বিজেপি মনোহরলাল খট্টর নামে একজন পঞ্জাবি খত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী করে। ২০১৯ সালে, বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ক্ষমতা রাখতে জাঠ নেতা দুষ্যন্ত চৌতালার জননায়ক জনতা পার্টির ওপর গতবার বিজেপি নির্ভরশীল ছিল।
এ বারের পরিস্থিতি
এবারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে, জাঠরা নানা কারণে বিজেপির ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। এর মধ্যে ক্ষোভের সবচেয়ে বড় কারণ, কৃষক আন্দোলন এবং কুস্তিগীরদের প্রতিবাদ। তিনটি বিতর্কিত খামার আইন বাতিল হওয়ার পরেও, কৃষকরা ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP)-এর আইনি গ্যারান্টি এবং অন্যান্য দাবি জানাচ্ছিলেন। বছরব্যাপী আন্দোলনের সময় কৃষকদের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্ব্যবহার জাঠ সম্প্রদায়ের মনে আঘাত হেনেছে। কুস্তিগীরদের প্রতিবাদে জাঠ সম্প্রদায়ের ভিনেশ ফোগত ও সাক্ষী মালিক সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন। ভিনেশ কংগ্রেসের টিকিটে জুলানা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
দলগুলোর হিসেব
কংগ্রেস ২৮ জাঠ প্রার্থী দিয়েছে। যা স্পষ্ট করেছে, তারা জাঠদের সমর্থনের ওপর কতটা নির্ভরশীল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হুডা, দল কাকে প্রার্থী করবে তা নির্ধারণে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। তিনিই নির্বাচনী প্রচারে নেতৃত্ব দেন। বিজেপি ১৬ জাঠ প্রার্থীকে টিকিট দিয়েছে। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি ওবিসি সম্প্রদায়ের। এবারের নির্বাচনেও তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রজেক্ট করেছে বিজেপি। পাশাপাশি, রাজ্য বিজেপির সভাপতি মোহনলাল বাডোলি একজন ব্রাহ্মণ নেতা।
আরও পড়ুন- এবার মহাযুদ্ধ! ইরানের ওপর হামলা চালাতে প্রস্তুত ইজরায়েল
আঞ্চলিক দল জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি/JJP), জাঠ ভোটের অন্যতম দাবিদার। তারা এই নির্বাচনে চূড়ান্ত পর্যুদস্ত হতে চলেছে। ধরে নেওয়া হচ্ছে, জাঠ ভোট কংগ্রেসের দিকে আর অ-জাঠ ভোট বিজেপির দিকে চলে গিয়েছে।