ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এবার মহিলা অফিসাররা আগের চেয়ে বেশি সুযোগ পাচ্ছেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই ভারতীয় সেনা সবদিক থেকেই যেন আধুনিক হয়ে উঠছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল,
কী ঘটছে
সেনাবাহিনীতে ১০৮ জন মহিলা অফিসারকে ২২ জানুয়ারির মধ্যে একটি বিশেষ নির্বাচন বোর্ড কর্নেল পদে ছাড়পত্র দেবে। এরপর এই মহিলা পদাধিকারীরা তাঁদের নিজের ইউনিটে অস্ত্রচালনা-সহ অন্যান্য পরিষেবায় সৈন্যদের পরিচালনা করার দায়িত্ব পাবেন। এই প্রথমবার এতজন মহিলাকে কর্নেল পদে নিযুক্ত করে এত গুরুদায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে ১৯৯২ থেকে ২০০৬ ব্যাচের মোট ২৪৪ জন মহিলা অফিসারকে ইঞ্জিনিয়ার, সিগন্যাল, আর্মি এয়ার ডিফেন্স, ইনটেলিজেন্স কর্পস, আর্মি সার্ভিস কর্পস, আর্মি অর্ডিন্যান্স কর্পস এবং ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল-সহ বিভিন্ন বিভাগে অস্ত্র এবং পরিষেবা ক্ষেত্রে এতবড় গুরুদায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
কেন তাৎপর্যপূর্ণ?
এটা তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি মহিলা আধিকারিকদের তাঁদের পুরুষ সহযোগীদের সঙ্গে সমতা দিচ্ছে। এর আগে বাহিনীতে সীমিত সময়ের কর্মজীবনে মহিলা অফিসারদের কর্নেল হওয়ার এবং পুরুষ সেনা অফিসারদের মত একটি ইউনিটের কমান্ড করার জন্য কোনও পদোন্নতির সুযোগ ছিল না। এমন নয় যে মহিলা অফিসাররা অতীতে কর্নেল বা তার বেশি পদে উঠতে পারেননি। তবে এতদিন তাঁরা কেবল দুটি শাখায় ছিলেন- জজ অ্যাডভোকেট জেনারেল (জেএজি) শাখা এবং সেনা শিক্ষা কর্পস। যেখানে মহিলা অফিসারদের ২০০৮ সাল থেকে স্থায়ী কমিশন্ড অফিসার পদে সুযোগ মিলছিল।
আরও পড়ুন- চিনের জনসংখ্যা হ্রাস: কেন ভারতের পরিস্থিতি আলাদা এবং সম্ভবত ভালো
মিলেছে সুযোগ
যাইহোক, এগুলো ছিল স্টাফ অ্যাপয়েন্টমেন্ট। যা প্রকৃতিতে প্রশাসনিক। আর, সোজাভাবে বললে কোনও কমান্ড অ্যাপয়েন্টমেন্ট নয়। এমন কোনও অ্যাপয়নমেন্ট নয়, যেখানে একজন অফিসার সরাসরি সৈন্যদের কমান্ড করতে পারেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মহিলা সেনা আধিকারিকদের স্থায়ী পদ দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল। এই নির্দেশের ফলে, যুদ্ধাস্ত্র ছাড়া সেনাবাহিনীর সমস্ত ধারায় মহিলা অফিসারদের পদোন্নতির দরজা খুলে দিয়েছে। সেনাবাহিনীতে দীর্ঘ কর্মজীবনের পাশাপাশি, মহিলা অফিসারদের পদোন্নতির কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। কর্নেল এবং তারও ওপরের পদে মহিলা অফিসারদের পদন্নোতির সুযোগ মিলছে।
Read full story in English