আফগানিস্তানে নারীশিক্ষার ওপর তালেবানের নিষেধাজ্ঞা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। প্রকাশ্য জনজীবন থেকে আফগান মহিলাদের নির্বাসিত করে রাখাই যেন এখন তালেবানের অন্যতম লক্ষ্য। ইতিমধ্যেই তারা শরিয়ত আইন অনুযায়ী প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড এবং বেত্রাঘাতের প্রথা চালু করেছে। প্রথমবার যখন তারা ক্ষমতা দখল করেছিল, তখনও এমন প্রথাই চালু করেছিল তালেবানরা।
আফগান নাগরিকদের একাংশের আশা ছিল, তালেবানের এবারের শাসন আগের চেয়ে ভালো হবে। কিন্তু, কোথায় কী! সেই আগের মতই এবারও তারা মধ্যযুগীয় শাসন ব্যবস্থার পথে হাঁটছে। এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের তালেবান জমানায় আফগানিস্তানের নারীশিক্ষা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবার তালেবানরা প্রথমে মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
প্রথমে তারা বলেছিল যে এটি একটি 'অস্থায়ী স্থগিতাদেশ'। সময়টা ছিল ২০২১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর। তালেবান ক্ষমতায় ফেরার একমাস পর। আর, শেষ মার্কিন এবং ন্যাটো সৈন্য আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার দুই সপ্তাহ পরে তালেবান এমনটা জানিয়েছিল। কিন্তু, সময় যত এগিয়েছে, ততই আফগান নাগরিকদের কাছে স্পষ্ট হয়েছে, ওসব অস্থায়ী স্থগিতাদেশ নয়। আসলে তালেবান তাদের শাসনে যেটা চালাবে, সেটাই গোড়া থেকে শুরু করেছে।
এই বছরের আগস্টে, আফগানিস্তানের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র আবদুল কাহার বালকি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন যে, 'সাংস্কৃতিক সীমাবদ্ধতা, বাজেটের সীমাবদ্ধতা, সম্পদের অভাব, পরিকাঠামোর অভাব, শিক্ষক, বইয়ের অভাব সত্ত্বেও, সরকার অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করছে এই সমস্যার সমাধান করতে। আমাদের নীতি লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল আফগান নাগরিকের জন্য শিক্ষা।'
আরও পড়ুন- বড় ঘোষণা কেন্দ্রের, এই পাঁচ দেশ থেকে ভারতে এলেই RT-PCR টেস্ট বাধ্যতামূলক
তালেবান মুখপাত্রের অভিযোগ, আফগানিস্তানের সম্পদ আমেরিকা লুঠ করেছে। সেটা তো তারা ফেরত দেয়ইনি। উলটে, নারীশিক্ষার ধুয়ো তুলে আফগান জনগণকেই নিশানা করছে। আমেরিকার বিরুদ্ধে শুধু এই অভিযোগ তোলাই নয়। বালকি দাবি করেছিলেন যে, আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে একডজনেরও বেশি প্রদেশে নারীশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু, তালেবান মুখপাত্রর এই দাবি যে স্রেফ কথার কথা, সময় এগোতেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে আফগান নাগরিকদের কাছে।
Read full story in English