তাদের হেফাজতে থাকা ১০ ভারতীয় সেনাকর্মীকে মুক্ত করল চিনা সেনাবাহিনী। এদের মধ্যে ভারতীয় সেনার দুই অফিসারও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গত সোমবার রাতে গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ইন্দো-চিন সেনা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সময়ই এই ভারতীয় সেনাদের বন্দি করেছিল 'ড্রাগন' বাহিনী।
Advertisment
সেনা সূত্রে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পরেছে যে, দু'দেশের বাহিনীর মধ্যে কঠোর সমঝোতার মাধ্যমেই ভারতীয় সেনাদের হেফাজতমুক্ত করেছে চিনা বাহিনী। গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উভয় তরফের মেজর জেনারেল পর্যায়ে আলোচনা চলে। যার ভিত্তিতে ভারতীয় সেনাদের মুক্ত করতে রাজি হয় চিন। প্রথা মাফিক চিনা সেনাদের হেফাজত থেকে ফিরে আসা ভারতীয় সেনাদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে ও রিপোর্টও জমা পড়েছে।
১৯৬২ সালের ইন্দো-চিন যুদ্ধের পর এই প্রথম ভারতীয় সেনাদের বন্দি করেছে চিনা সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় যে, গালওয়ান সংঘর্ষে কোনও ভারতীয় সেনাকর্মী নিখোঁজ নেই। তবে, চিনা সেনার হেফাজতে থাকা এ দেশের সেনাদের কোনও বিবরণ বা তথ্য সেই বিবৃতিতে দেওয়া হয়নি।
সোমবার রাতে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান ও শাইওক নদীর মোহনার কাছে যে স্থানে ইন্দো-চিন সেনা সংঘাত বাঁধে তা ১৪ নম্বর পেট্রলিং পয়েন্ট বলে পরিচিত। ভারতীয় সেনার দাবি, চুক্তি অনুসারে নদির পশ্চিমে থাকার কথা ভারতীয় সেনার ও পূর্বে চিনা সেনার। মধ্যবর্তী অংশ বাফার জোন। সোমবার বাফার জোন থেকে চিনা সেনার তাঁবু সরাতে গিয়েছিল ভারতীয় বাহিনীর বিহার রেজিমেন্ট। তখনই অতর্কিতে পাথর ছুড়তে শুরু করে চিনা বাহিনী। তার পর লোহার রড, বাঁশ দিয়ে মারধর শুরু হয়। এই সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়। জখম হন ৭৬ জন সেনাকর্মী। ভারতীয় সেনার দাবি চিনা বাহিনীরও একাধিক সদস্যের প্রাণহানি হয়েছে। গালওয়ান নিয়ে চিনের দাবি ‘অতিরঞ্জিত ও অচল’ বলে বেজিংকে জানানো হয়েছে বলে দাবি করেছে বিদেশমন্ত্রক।