১০ শতাংশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কেন্দ্র নির্ধারিত আয়ের শর্ত কী আদৌ মানবে রাজ্যগুলো?

এই আইনের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করার কথা ভাবছে এনসিডিএইচআর। তাদের দাবি, সামাজিক ন্যায় বিচারের আদর্শের বিরুদ্ধে কাজ করছে কেন্দ্র। 

এই আইনের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করার কথা ভাবছে এনসিডিএইচআর। তাদের দাবি, সামাজিক ন্যায় বিচারের আদর্শের বিরুদ্ধে কাজ করছে কেন্দ্র। 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সম্প্রতি পাশ হয়েছে অর্থনৈতিক অনগ্রসর সাধারণ শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশের সংরক্ষণ বিল। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে এবং সরকারি চাকরিতে এই সংরক্ষণ কার্যকর হবে। সামাজিক ন্যায় এবং ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বার্ষিক ৮ লক্ষের কম আয়ের পরিবারভুক্ত হলেই সংরক্ষণের আওতায় পড়বেন পড়ুয়া অথবা চাকরি প্রার্থীরা।

Advertisment

কেন্দ্র থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, রাজ্যগুলি নিজেদের মতো যোগ্যতা মাপকাঠি পাল্টাতে পারে। সেক্ষেত্রে বার্ষিক রোজগারের সীমাও রাজ্যগুলো নিজেদের মতো বেঁধে দিতে পারবে এবং সময়ে সময়ে 'অর্থনৈতিক অনগ্রসর সাধারণ শ্রেণি'র সংজ্ঞাও বদলাতে পারবে।

সরকারি সূত্রে এ প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, ভারতীয় সংবিধানের ১২ নম্বর ধারা অনুযায়ী রাজ্যগুলো সংরক্ষণের ক্ষেত্রে পারিবারিক বার্ষিক আয়ের উর্ধসীমা নিজেরাই ঠিক করতে পারবে। কিন্তু অন্যান্য অনগ্রসর জাতির ক্ষেত্রে কেন্দ্র নির্ধারিত ৮ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয়ের শর্তটি অপরিবর্তিত থাকবে।

Advertisment

আরও পড়ুন, মুম্বইয়ে ৯ লক্ষেরও বেশি ভুয়ো ভোটার, দাবি কংগ্রেসের

দলিত মানবাধিকারকর্মী রমেশ নাথন এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, "কিছু দিন আগে পর্যন্ত তফশিলি জাতি উপজাতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের জন্য পারিবারিক বার্ষিক আয়ের উর্ধসীমা ছিল আড়াই লক্ষ টাকা। সম্প্রতি তা বাড়িয়ে ৬ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। কিন্তু উচ্চবর্ণের ক্ষেত্রে উর্ধসীমা রাখা হয়েছে ৮ লক্ষ। অর্থাৎ তফশিলি জাতি উপজাতির বিরুদ্ধে আবারও অন্যায় করা হল"। এই বিলের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করার কথা ভাবছে এনসিডিএইচআর। তাদের দাবি, সামাজিক ন্যায় বিচারের আদর্শের বিরুদ্ধে কাজ করছে কেন্দ্র।

সূত্রের খবর বলছে, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গুজরাটের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো থেকে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে, নতুন আইনের আওতায় আসতে চায় না তারা। তামিলনাড়ু, বিহারও একই কথা জানিয়েছে কেন্দ্রকে। ভারতীয় সংবিধানের ১৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী অনগ্রসর শ্রেণির প্রার্থীদের জন্য সরকারি চাকরিতে আসন সংরক্ষণ করতে পারে। সেক্ষেত্রে রাজ্যগুলোকে কেবল কেন্দ্রের কাছে দেখাতে হয় অনগ্রসর শ্রেণির সদস্যদের যথেষ্ট প্রতিনিধিত্ব হয়নি।

Read the full story in English