একেই বলে বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা! সিবিআইয়ের হেফাজত থেকেই প্রায় ১০৪ কেজি সোনা গায়েব! যার জেরে কড়া পদক্ষেপ করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। শুক্রবার সিবিআইকে তুমুল ভর্ৎসনা করে তাদের বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিল আদালত। তামিলনাড়ুর রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাকে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তার আগে সিবিআই আবেদন করে, স্থানীয় পুলিশ যদি তদন্ত করে তাহলে কেন্দ্রীয় সংস্থার সম্মান নষ্ট হবে। কিন্তু তাদের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।
নজিরবিহীন নির্দেশ দিয়ে এদিন হাইকোর্ট জানায়, "এটা সিবিআইয়ের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। যদি সীতার মতো তারা পবিত্র থাকে তাহলে তো তাদের কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু যদি তা নাহয় তাহলে তার শাস্তি পেতে হবে।" যদিও সিবিআইয়ের কৌঁসুলি আদালতে আর্জি জানায়, সিবিআই বা এনআইএ-কে দিয়ে তদন্ত করানো হোক রাজ্য পুলিশের বদলে। সে প্রসঙ্গে বিচারপতি পি এন প্রকাশ বলেন, "আদালতের আইন কখনও পার্থক্য করতে পারে না। সব পুলিশ বাহিনীতে আস্থা রাখতে হবে। সিবিআইকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া যাবে না। সিবিআইয়ের মাথায় শিং আছে আর স্থানীয় পুলিশের লেজ, এটা কি সম্ভব?"
আরও পড়ুন রাজ্য সরকারি কর্মীদের টি-শার্ট, জিনস পরনে নিষেধাজ্ঞা জারি
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে সিবিআই বিপুল পরিমাণ সোনা বাজেয়াপ্ত করেছিল। ভারতের খনিজ ও ধাতু বাণিজ্য নিগমের কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে সুরানা কর্পোরেশন লিমিটেডকে সোনা-রুপো আমদানির জন্য সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গয়না ও বারের আকারে ৪০০ কেজি সোনা সুরানার অফিস থেকে বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। চেন্নাইয়ের সেই সংস্থা থেকে বাজেয়াপ্ত করা সোনা তাদের ভল্টে রেখেছিল সিবিআই। এরপর গোয়েন্দারা দাবি করেন, ভল্টের চাবি বিশেষ সিবিআই আদালতে জমা করে দেন তাঁরা। কিন্তু তাঁর কোনও নথিপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। এবছর ফেব্রুয়ারি মাসে ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সামনে সেই ভল্ট খুলে সিবিআইয়েরআ গোয়েন্দারা দেখেন, প্রায় ১০৪ কেজি সোনা কম রয়েছে। এর জেরে আদালতের প্রশ্ন, "সোনা কি গাঁজা নাকি যে উবে যাবে?"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন