অযোধ্যা মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু, তর সইছে না বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। বিতর্কিত জমিতে অবিলম্বে মন্দির নির্মাণের দাবি করছে তারা। সেই দাবি নিয়েই মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান থেকে প্রায় হাজার রামভক্ত পৌঁছে গিয়েছেন অযোধ্যায়। তারা নিজেদের রামের বংশধর বলে দাবি করে।
অখণ্ড রঘুবংশ সমাজ কল্যাণ মহাপরিষদের তরফে গত শুক্রবার ভোপাল থেকে শুরু হয় ব়্যালি। যার নেতৃত্বে ছিলেন মধ্যপ্রদেশের শিবপুরার বিজেপি বিধায়ক বীরেন্দ্র রঘুবংশী। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী সহ জেলা প্রশাসনকেও স্মারকলিপি দেওয়া হয় সংগঠনের তরফে। অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে মন্দির নির্মাণের দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন: এবার পুরোহিতদের ভাতার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা মমতা সরকারের
দেশের শীর্ষ আদালতে চলছে অযোধ্যা মামলার শুনানি। সেখানেই প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি এস এ বোবদে রামলালা বিরাজমান সংস্থার আইনজীবী পরাশরণকে প্রশ্ন করেন, ভগবান রামের কোনও বংশধর কি এখনও জীবিত আছেন? জবাবে আইনজীবী জানান, 'পুরাতত্ত্ব বিভাগের তরফে যে খননকার্য চালানো হয়েছিল, তাতে প্রমাণ হয়েছে যে, অযোধ্যায় মসজিদ স্থাপনার আগে মন্দির ছিল৷ এখানে পাহাড় ও শিলাকেও আরাধ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়৷ কেদারনাথ ধামের কথা বিবেচনা করলেই বোঝা যাবে আমার কথার অর্থ৷ রামায়ণে উল্লেখ রয়েছে, রাবণ নিধনের ইচ্ছা নিয়ে সব দেবতারা ভগবান বিষ্ণুর কাছে আর্জি জানাতে যান, সেই সময়েই ভগবান বিষ্ণু অযোধ্যার রাজা দশরথের গৃহে জন্মগ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানান৷ এটা পুরাণ স্বীকৃত মাহাত্ম্য৷'
সুপ্রিম কোর্টের সেই প্রশ্নের প্রেক্ষিতেই এই যাত্রা বলে জানান মহাপরিষদের জাতীয় সভাপতি হরিশঙ্কর সিং রঘুবংশী।
Read the full story in English