উপত্যকায় বিপন্ন শৈশব। গত ৫ই আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের পর থেকে সেখানকার ১৪৪ নাবালককে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই ৯ থেকে ১৭ বছর বয়সী। তাদের রাখা হয়েছে বিভিন্ন সরকারি হোমে। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষ কমিটিকে এমনটাই জানাল জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্ট নিযুক্ত জুভেনাইল জাস্টিস কমিটি। রাজ্য প্রশাসনের দাবি, পাথর ছোড়া, দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাঁধানো এবং সরকারি ও বেসরাকরি সম্পত্তি নষ্টে যুক্ত থাকায় তাদের আটক করা হয়েছে। াইনের বাইরে গিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
এছাড়াও জানানো হয়েছে, ১৪৪ জনের মধ্যে ১৪২ জনকেই বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মাত্র ২ জন এখনও সরকারি হোমে রয়েছে। পুলিশ ও রাজ্য সরকার সত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Gandhi Jayanti 2019 Live Updates: গান্ধীর সার্ধশতবর্ষ, শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রী-সোনিয়া গান্ধীর
চলতি বছরের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে কেন্দ্রের মোদী সরকার। জারি কড়া নিয়ন্ত্রণ। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ, দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় টেলিফোন, ইন্টারনেট। ব্যহত হয় যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই অঅবস্থায় বিরোধী রাজনৈতিক দল ও মানবাধিকার সংগঠনের তরফে অত্যাচারের অভিযোগ তোলা হয়। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের উপরও দমন চালানো হচ্ছে বলে সরব হন তারা। আর এই নালিশ নিয়েই সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন সমাজকর্মী এনাক্ষী গঙ্গোপাধ্যায় এবং শান্তা সিংহ। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের জুভেনাইল জাস্টিস কমিটিকে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার, বিচারপতি এনভি রমণ, আর সুভাষ রেড্ডি এবং বিআর গাবাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেয় বিচারপতি আলি মহম্মদ মাগ্রের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের ওই কমিটি।
আরও পড়ুন: ফুলে ফুলে পুজোর লড়াই, তবুও এগিয়ে তৃণমূল!
পুলিশের বয়ান অনুযায়ী, 'বেআইনি ভাবে কোনও শিশুকে আটক করা হয়নি। বরং কোনও নাবালক আইন বিরোধী কাজে লিপ্ত রয়েছে বলে জানা গেলে, আইন মেনেই তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে।' কিন্তু, এটাই চূড়ান্ত রিপোর্ট নয়। কী অভিযোগে এবং কত জন শিশুকে আটক করা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এডিজি-র কাছে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত ওই কমিটি। জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্ট এবং নিম্ন আদলতে ওই শিশুদের জামিনের কোনও আবেদন জমা পড়েছে কি না, তাও জানাতে বলা হয়েছে।
পুলিশের হাতে আটক, বর্তমানে বাড়িতে রয়েছে এমন এক নাবালোকের পরিবারের সদস্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, '২৫ সেপ্টেম্বর আমাদের জানানো হয়েছে পরিবারের ছেলেটাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।' যদিও, প্রশানের যুক্তি, ওই যুবকের বয়স ২২ বছর ও সে জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য।
Read the full story in English