ভোটের ডিউটি দিয়ে করোনা কোপে প্রাণ হারালেন ১৭ শিক্ষক, পরিবারে হাহাকার

বিধানসভা উপনির্বাচনে যাওয়ার ইচ্ছে তার বাবার ছিল না। এমনকী পর্যাপ্ত পিপিই কিটও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই শিক্ষক।

বিধানসভা উপনির্বাচনে যাওয়ার ইচ্ছে তার বাবার ছিল না। এমনকী পর্যাপ্ত পিপিই কিটও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই শিক্ষক।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

'যদি বাবাকে সেদিন যেতে বারণ করতাম তাহলে আজকের দিনটি দেখতে হত না', ২৫ বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক-পুত্র এমনটাই বলে চলেছেন গত ১৫ দিন ধরে। ৫৮ বছর বয়সি সরকারি স্কুলের শিক্ষকের মৃত্যু তুলছে নানা প্রশ্ন!

Advertisment

ছেলে জানালেন বিধানসভা উপনির্বাচনে যাওয়ার ইচ্ছে তার বাবার ছিল না। এমনকী পর্যাপ্ত পিপিই কিটও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। বাড়ি ফিরেই জ্বর ও করোনার উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হন তিনি এবং ৫ মে মৃত্যু। এমনকী স্ত্রীর দেহেও ততক্ষণে হানা দিয়েছে ভাইরাস। হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হলেও প্রাণে বাঁচানো যায়নি।

আরও পড়ুন, দেশে আক্রান্ত কমলেও কেন সর্বোচ্চ হারে বাড়ছে মৃত্যু?

Advertisment

উত্তরপ্রদেশে উপনির্বাচনে কোভিড বিধি ভঙ্গের অভিক্সোগ তুলেছে এমন প্রিয়জন হারানো বহু পরিবার। উত্তর প্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে কোভিডের ফলাফলের ভিত্তিতে ১৭ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে যারা ভোটের ডিউটি দিতে গিয়ে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।

ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর কৃষ্ণ চৈতন্য বলেন, "আমরা এখন পর্যন্ত ২৪ জন শিক্ষকের আবেদন পেয়েছি, যারা প্রাথমিক দায়িত্ব গ্রহণের পরে নির্বাচন কমিশনে নিযুক্ত হওয়ার পরে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ছয়জন সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন এবং অন্যরা অনুমোদিত কাজে নিযুক্ত ছিলেন। ক্ষতিপূরণের জন্য নির্বাচন কমিশনে পাঠানো সব তথ্য যাচাই করে দেখা হচ্ছে।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus Corona Death