ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ভারতীয় নাগরিকদের সরানোর জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে মামলা হয় শীর্ষ আদালতে। সেই মামলার শুনানিতেই সেদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সর্বোচ্চ আদালত। ইউক্রেনে থাকা ১৭ হাজার ভারতীয়কে ইতিমধ্যেই সরানো হয়েছে। এদিন আদালতে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপাল।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি এ এস বোপান্নার বেঞ্চ মামলার শুনানিতে উল্লেখ করেছেন, “আমরা কেন্দ্র সম্পর্কে একটি শব্দও বলছি না। আমরা এটির (কেন্দ্রের প্রচেষ্টা) প্রশংসা করি। তবে আমরা ওই ছাত্রদের জন্য উদ্বিগ্ন।" এরই পাশাপাশি এদিন আদালত কেন্দ্রীয় স্তরেও অভিভাবকদের জন্য একটি অনলাইন হেল্পলাইন চালুর পরামর্শ দিয়েছে। যদিও বেশ কয়েকটি রাজ্য ইতিমধ্যেই এই উদ্যোগ নিয়েছে বলেও এদিন জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, "এটি দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা অতীতের যুদ্ধের পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিইনি। এতে আমাদের বেশি কিছু বলার নেই। তবে দুশ্চিন্তা শিক্ষার্থীদের নিয়ে।'' এদিন সুপ্রিম কোর্টে দুটি আবেদনের শুনানি হয়। ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি। অন্য মামলাটি করেন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ফাতিমা আহানা। ওডেসার এমবিবিএস ছাত্রী ফাতিমা রোমানিয়ায় পৌঁছানোর এবং উদ্ধারকারী বিমানে উঠতে মোল্দোভায় একটি চেকপয়েন্ট পেরনোর অনুমতি চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- আতঙ্কের ইউক্রেন, কিয়েভ ছাড়ার পথে গুলিবিদ্ধ ভারতীয় ছাত্র
আহানার আবেদনের বিষয়ে এদিন এজি আদালতকে জানান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আবেদনকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। যিনি এখন রোমানিয়ায় রয়েছেন। এজি বলেন, "তাঁকে আজ ভারতে ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি এবং তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরাও আজ রাতের মধ্যেই ভারতে ফিরবেন।"
এদিন ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরানোর বিষয়টিতে ব্যক্তিগত আগ্রহের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এদিন তাঁকে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের সংখ্যা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। যার উত্তরে এজি বলেছিলেন, “আজ সকালের খবরে বলা হয়েছে ৭ হাজার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আটকে পড়া নাগরিকদের উদ্ধারের জন্য একটি মন্ত্রিসভা বৈঠক করেছিলেন। তাই এই প্রক্রিয়াটি দ্রুত করা যাচ্ছে।''
Read story in English