পাবজি (Players Unknown Battleground) খেলার নতুন নেশায় মেতে উঠেছে নতুন প্রজন্ম। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেশ কিছুদিন ধরেই পাবজির বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা হচ্ছিল। কিন্তু এবারে ১৯ বছর বয়সি এক মায়ের ফোনে নড়েচড়ে বসল গুজরাট। 'অভয়ম-১৮১' হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে ওই তরুণী দাবি করেছেন, তিনি তাঁর বর্তমান স্বামীর থেকে ডিভোর্স নিয়ে পাবজি খেলার সঙ্গীর সঙ্গে কাটাতে চান বাকি জীবন।
'অভয়ম-১৮১' গুজরাট সরকারের একটি বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর, যার প্রধান উদ্দেশ্য মহিলাদের কোনওরকম বিপদে তাঁদের সাহায্য করা। সেখানেই ফোন করে ওই তরুণী সাহায্যের জন্য আবেদন জানান। তরুণীর এই আবেদনের পর মনস্তাত্ত্বিকদের একটি দল তাঁর বাড়িতে যায় এবং তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথাও বলে বিষয়টি সম্পর্কে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আবেদনকারিনী নিজে একজন পাবজি খেলোয়াড়, এবং সারাদিন তিনি মোবাইলে পাবজি খেলতে ব্যস্ত থাকেন। সেখান থেকেই পরিবারের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকে খেলা যাবে না পাবজি
'অভয়ম-১৮১' হেল্পলাইন প্রজেক্টের প্রধান নরেন্দ্রসিং গোহিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, সারাদিনে গড়ে প্রায় ৫৫০টি ফোন কল আসে এই হেল্পলাইনে। তার মধ্যে ৯০ শতাংশ বাড়িতেই আবেদনকারীদের সাহায্য করতে পৌঁছে যান মনস্তাত্ত্বিকরা। তিনি বলেন, "সাধারণত মায়েরাই তাঁদের ছেলেমেয়েদের পাবজি খেলার প্রতি আসক্তি নিয়ে এখানে অভিযোগ করেন। কিন্তু পাবজি খেলার জন্য স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে অপর এক পাবজি খেলোয়াড়ের সঙ্গে জীবন কাটানোর আবেদন নিয়ে ফোন এই প্রথম।"
কাউন্সেলিং দলের প্রধান সোনাল সাগাথিয়া আবেদনকারিনীর সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দেন। সোনাল জানান, মহিলার মানসিক অবস্থা বিচার করে তাঁকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানোর কথা বলা হয়, কিন্তু সঙ্গে ফোন রাখা যাবে না বলে ওই তরুণী পুনর্বাসন কেন্দ্রে যেতে অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ক্রিকেটে পাবজি-প্রেমী কারা, ফাঁস করে দিলেন জাতীয় দলের তারকা
অভয়মের প্রধান জানান, "অভয়ম হেল্পলাইন প্রকল্পের নীতি অনুযায়ী, একজন কাউন্সিলর বিকল্প পথের পরামর্শ দিতে পারেন, কিন্তু কখনোই আবেদনকারীর সিদ্ধান্তের উপর জোর খাটাতে পারেন না। আবেদনকারিনী জানিয়েছেন তিনি এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছেন, প্রয়োজন পড়লে তিনি আবার আমাদের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করবেন।"
Read the full story in English