প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা ১৯৮৪ সালের শিখ বিরোধী দাঙ্গায় যাবজ্জিবন দোষী সাব্যস্ত কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের প্রধানবিচারপতি এস এ বোবদে নেতৃত্বাধীন বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি সূর্যকান্তয়ের বেঞ্চ জানিয়েছেন শবরীমালার ঘটনার শুনানি শেষ হওয়ার পর এইমস থেকে আসা মেডিক্যাল রিপোর্টে বিচার করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ম বাঁচানোর জন্য নয়, স্কুল কলেজ তৈরির জন্য সরকার নির্বাচন করেছি’, মোদীকে তোপ কানহাইয়ার
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ১৭ ডিসেম্বর সজ্জন কুমারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে মৃত্যু হয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর। তার পর দেশ জুড়ে শিখ বিরোধী জনরোষ তৈরি হয়েছিল। আক্রান্ত হন দিল্লি সহ দেশের বিভিন্নপ্রান্তের শিখ পাঞ্জাবিরা। সেই দাঙ্গায় দু’হাজারেরও বেশি শিখকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। শিখদের বিরুদ্ধে এই দাঙ্গাতেই অভিযুক্ত ছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার।
আরও পড়ুন: ‘আপনারা চাইলেই সময় দেব’, শাহিনবাগকে শাহের বার্তা
দাঙ্গা ও ৫ জন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে হত্যার জন্য সিবিআই কুমারকে অভিযুক্ত করে। তবে, ২০১৩ সালে নিম্ন আদালত সজ্জন কুমারকে নিরাপরাধ বলে রায় দেয়। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে হাইকোর্ট তাঁকে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, হিংসা ছড়ানো, এবং জনগণের সম্পত্তি বিনষ্ট করার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেয়। সেবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। পাশাপাশি তাঁকে এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করে আদালত।
Read the story in English