অসমের কাছার জেলায় শনিবার গণপ্রহারে মৃত্যু হল ন্যাশনাল সোসালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ড (খাপলাং)-এর দুই সন্দেহভাজন জঙ্গির। এই দুই জঙ্গির হাতে ছ'টি একে-৫৬ রাইফেল ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে জয়পুর থানা এলাকার অসম-মণিপুর সীমান্তের কাছাকাছি বাজার এলাকায়। জানা যাচ্ছে, সকাল ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ এই দুই সন্দেহভাজন ব্যক্তি স্থানীয় মানুষের কাছে একটি এলাকার পথ নির্দেশ জানতে চায়। "এরপরই এত অস্ত্র দেখে গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়। তারা ভাবে এরাও বোধ হয় আক্রমণের লক্ষ্যে এসেছে। এরপরই দু'জনকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু হয়" বলে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে জানিয়েছেন কাছারেরে পুলিশ সুপার রাকেশ রোশান।
আরও পড়ুন- আসাম গণহত্যা: আপন হারিয়ে এখনও শোকে বিহ্বল ওঁরা
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক আবার জানিয়েছেন, দু'টি একে-৫৬ রাইফেল ছাড়াও একটি চিনা লাইট মেশিন গান (এলএমজি), একটি চিনা হ্যান্ড গ্রেনেড, একটি ১২ বোরের বন্দুক এবং কয়েক রাউন্ড গোলাগুলিও উদ্ধার হয়েছে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের থেকে।
গণপ্রহার শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তবে ততক্ষণে সন্দেভাজন জঙ্গিরা মারাত্মকভাবে আহত হয়ে গিয়েছে। এরপর শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের নিয়ে আসতেই, মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। রাকেশ রোশানের মতে ওই দুই ব্যক্তি সম্ভবত ন্যাশনাল সোসালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ড (খাপলাং)-এর সদস্য। কারণ, ওই এলাকায় এই সংগঠনের রীতিমতো প্রভাব রয়েছে। তবে, মৃত দুই ব্যক্তির প্রকৃত পরিচয় জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) অসমের তিনসুকিয়া জেলায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের হাতে ৫ বাঙালি হত্যার পর এদিনের এই ঘটনা বিশেষভাবে প্রভাব ফেলেছে রাজ্যে।
Read the full story in English