সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর প্রাণভিক্ষার আর্জি জানাতে এবার রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হলেন নির্ভয়াকাণ্ডের ফাঁসির আসামী মুকেশ সিং, সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর। নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দু’জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তের কিউরেটিভ পিটিশনের আর্জি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সাজাপ্রাপ্ত বিনয় শর্মা এবং মুকেশে সিংয়ের রুজু করা কিউরেটিভ পিটিশনের শুনানি খারিজ করে বিচারপতি এন ভি রমনা, অরুণ মিশ্র, আরএফ নরিম্যান, আর ভানুমতি এবং অশোক ভূষণের বিশেষ বেঞ্চ। আগামী ২২ জানুয়ারি তিহার জেলে নির্ভয়া মামলায় অপরাধী চার সাজাপ্রাপ্তের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। গত সপ্তাহেই এই নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির আদালত।
আরও পড়ুন: এক নজরে নির্ভয়ার ‘ন্যায় যাত্রা’
মৃত্যুসাজাপ্রাপ্ত বিনয় কুমার শর্মা তার আইনজীবী এ পি সিং-এর মাধ্যমে এই আবেদন করে দেশের শীর্ষ আদালতে। বিনয় শর্মা বলে যে তার অপরিণত বয়স, আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি, অসুস্থ মা-বাবা, পরিবারের নির্ভরশীলের সংখ্যা, কারাগারে তার ভালো আচরণ এবং উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা যথাযথভাবে বিবেচনা করা হয়নি আদালতে। যা ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ব্যর্থতা।
৭ জানুয়ারি নির্ভয়াকাণ্ডে চার দোষীকেই মৃত্যুদণ্ড দেয় দিল্লির পাটিয়ালা হাউস আদালত। ২০১২ সালে দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডের দোষীরা হলো পবন গুপ্তা, মুকেশ সিং, বিনয় শর্মা এবং অক্ষয় ঠাকুর সিং। ২২ জানুয়ারি সকাল সাতটায় তিহার জেলে তাদের ফাঁসির নির্দেশ দেয় আদালত। এরপরেই বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন দায়ের করে নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে চার সাজাপ্রাপ্তের অন্যতম বিনয় শর্মা। এর আগেও বিনয় শর্মার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করেছিল শীর্ষ আদালত। যদিও অন্তিম বিকল্প হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জিও জানাতে পারে এই সাজাপ্রাপ্তরা।
আরও পড়ুন: নির্ভয়ার দোষীদের ফাঁসির টাকায় শেষ কর্তব্য পালন করব, জানালেন ফাঁসুড়ে পবন
এদিকে তিহার জেলে শুরু হয়েছে ফাঁসির তোড়জোড়। তিহার কর্তৃপক্ষ ফাঁসুড়ে চেয়ে মিরাটে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেই চিঠির প্রেক্ষিতেই উত্তরপ্রদেশের জেল কর্তৃপক্ষ বেছে নেন সিন্ধি রাম ওরফে পবন জল্লাদকে (৫২)। তবে সেই ফাঁসি দেবে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
Read the full story in English