কর্মরত দুই শীর্ষস্থানীয় সরকারি আমলার বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এনে তোলপাড় ফেলে দিলেন এক তরুণী। ওই দুই সরকারি আমলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন এবং গণধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন ওই তরুণী। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন ১৯৯০ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার। ওই ব্যক্তি আন্দামান ও নিকোবর (এএন্ডএন) দ্বীপপুঞ্জের মুখ্য সচিবও ছিলেন।
খোদ প্রশাসনের দুই শীর্ষকর্তাদের বিরুদ্ধে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগে আন্দামানের প্রশাসনিক মহলে বিস্তর জল্পনা-চর্চা ছড়িয়ে পড়েছে। নির্য়াতিতা তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে পোর্ট ব্লেয়ারের অ্যাবারডিন থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশ তাঁর অভিযোগের তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করেছে, এমনই খবর জানতে পেরেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। বিশেষ ওই তদন্তকারী ওই দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন একজন সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ। নির্যাতিতা তরুণীকে পুলিশ প্রয়োজনীয় সব ধরণের সুরক্ষা দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ওই তরুণী যাঁদের নামে এই অভিযোগ এনেছেন তাঁরা হলেন জিতেন্দ্র নারায়ণ এবং আর এল ঋষি। জিতেন্দ্র নারায়ণ নামে ওই সরকারি কর্তা তিন মাস আগে তথাকথিত ওই ঘটনা ঘটার আগে পর্যন্ত আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের মুখ্য সচিব ছিলেন। আর এল ঋষি আন্দামানের শ্রম কমিশনার হিসাবে কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন- কালীপুজোর আগেই বঙ্গে আছড়ে পড়বে সুপার সাইক্লোন? সিত্রাং নিয়ে রইল বিরাট আপডেট!
অভিযুক্ত জিতন্দ্র নারায়ণ বর্তমানে দিল্লি ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। দিল্লিতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, "অযৌক্তিক" অভিযোগ সম্পর্কে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চান না। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, এই অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে একটি পাল্টা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
অন্যদিকে, তরুণীকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত আর এল ঋষির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। তাঁর কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ঋষি বর্তমানে মেডিক্যাল লিভে রয়েছেন। তবে অভিযেগকারী ওই তরুণী যে গাড়িটির কথা পুলিশকে জানিয়েছেন সেটির রেজিস্ট্রেশন আর এল ঋষির নামেই রয়েছে বলে জানতে পেরছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ওই নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তাঁর অভিযোগ প্রমাণের জন্য জিতেন্দ্র নারায়নের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা উচিত।