বিধায়কের গাড়ির ধাক্কায় সাত পুলিশকর্মী-সহ আহত কমপক্ষে ২২। ক্ষুব্ধ জনতার রোষের মুখে অভিযুক্ত বিধায়কও। উত্তেজিত জনতার বেধড়ক মারে হাসপাতালে ভর্তি বিধায়ক।
ওড়িশার চিলিকার বিজেডি বিধায়ক প্রশান্ত জগদেব। অভিযোগ, খুরদা জেলার একটি এলাকা দিয়ে গাড়িতে যাচ্ছিলেন ওই বিধায়ক। সামনে জমায়েত দেখেও গাড়ি থামাননি তিনি। তাঁর গাড়ি ঢুকে পড়ে ওই জমায়েতের মধ্যেই। ভিড় ঠেলেই ছোটে গাড়ি। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার জেরে সাত পুলিশকর্মী-সহ কমপক্ষে ২২ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পরেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায় । পুলিশের সামনেই গাড়ি থেকে নামিয়ে বিধায়ককে চলে মারধর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুরদার বানাপুর বিডিও অফিসের সামনে ব্লক চেয়ারপার্সন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের একটি জমায়েত হয়েছিল। ঠিক সেই সময়েই ওই এলাকা দিয়ে গাড়িতে যাচ্ছিলেন বিজেডি বিধায়ক প্রশান্ত জগদেব। জমায়েত দেখেও গাড়ি থামাননি তিনি। এই ঘটনার পরেই উত্তেজিত জনতা মারধর করে অভিযুক্তকে। মারধরে জখম হয়েছিন বিধায়ক প্রশান্ত জগদেব। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। যদিও এই দুর্ঘটনার জেরে প্রাণহানি ঘটেনি। খুরদার পুলিশ সুপার আলেক চন্দ্র পধি জানিয়েছেন ঘটনার তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন- আরও কমল দৈনিক সংক্রমণ, মৃতের সংখ্যা নামল একশোর নীচে
উল্লেখ্য, এক বিজেপি নেতাকে হেনস্থার অভিযোগে গত বছরের অক্টোবরে ক্ষমতাসীন বিজু জনতা দল থেকে জগদেবকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। জগদেবকে খুরদা জেলা পরিকল্পনা কমিটির চেয়ারপার্সনের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে, এই ঘটনার পরেই বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পৃথ্বীরাজ হরিশচন্দ্র অবিলম্বে অভিযুক্ত প্রশান্ত জগদবকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
ওড়িশা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিরঞ্জন পট্টনায়েক টুইটে বলেছেন, ''চিলিকা বিডেপি বিধায়ক প্রশান্ত জগদেব লখিমপুর খেরির ঘটনা স্মরণ করালেন। ওড়িশার সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিজেডি এমনই আচরণ করে। এই ধরনের জঘন্য, অমানবিক কাজের নিন্দা জানাতে আমি শব্দ হারিয়ে ফেলছি।''
Read story in English