ভয়াবহ রুশ মিসাইল হানায় রক্তাক্ত ইউক্রেন। ইউক্রেনের সংবাদ সূত্রে খবর ইউক্রেনের একটি স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে রাশিয়ার রকেট হামলায় কমপক্ষে ২২ জন নিহত এবং ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন, যখন সারা দেশের মানুষ মস্কো-শাসিত সোভিয়েত শাসন থেকে স্বাধীনতার বার্ষিকী উদযাপন করেছে। তখন রুশ হামলার বলি ২২ জন সাধারণ মানুষ।
জেলেনস্কি মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসে " রাশিয়ান উস্কানি" এর ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক সংঘাতকে স্পর্শ করে রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেন আক্রমণ করার ছয় মাস পরেও একের পর এক হামলার কবলে পড়েছে ইউক্রেন।
ইউক্রেন দাবি করেছে, সেদেশের ওপর রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর ঠিক ৬ মাসের মাথায় বুধবার ইউক্রেনের একটি রেল স্টেশনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ২২ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন । কিয়েভ আরও বলেছে, ইউক্রেনের ছোট্ট শহর চাপলিনে ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে একটি গাড়িতে আগুন ধরে যায় এবং এটির পাঁচ আরোহীর সবাই নিহত হন। এই হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে ইউক্রেনের তরফে।
আরও পড়ুন: < মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছিল পাক জঙ্গি, রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচাল ভারতীয় সেনা >
নিউ ইয়র্কে বুধবার রাতে যখন রাষ্ট্র সংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক চলছিল তখন সেখানে ভাষণ দেওয়ার সময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হামলা ও হতাহতের খবর তুলে ধরেন।
জেলেনস্কির দাবির ব্যপারে রাশিয়া এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। তবে অতীতে রাশিয়া ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।গত এপ্রিল মাসে ইউক্রেনের আরেকটি রেল স্টেশনে এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৫০ যাত্রী নিহত হয়। রাশিয়া ওই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে।
নিরাপত্তা পরিষদে একটি ভিডিও কনফারেন্সে ভাষণ দেওয়ার সময়, জেলেনস্কি বলেন মিসাইলটি পূর্ব ইউক্রেনের রুশ-অধিকৃত ডোনেৎস্ক থেকে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার (90 মাইল) পশ্চিমে ছোট শহর চ্যাপলিনের একটি ট্রেনে আছড়ে পড়ে। একই সঙ্গে এই ঘটনার জেরে চারটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। হামলায় ২২ জন নিহত এবং ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।