মঙ্গলবার দিল্লির বুকে হিংসাত্মক ট্রাক্টর মার্চে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। ২৭ বছরের নবরীত সিংয়ের তরতাজা প্রাণ গিয়েছে হিংসাত্মক আন্দোলনে। সদ্য অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরেছিলেন তিনি। পড়াশোনার জন্যই বিদেশে গিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, তিনি যে দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনে শামিল হয়েছেন একথা জানতই না তাঁর পরিবার।
পুলিশ সূত্রে খবর, রামপুর জেলার বহু কৃষক দিল্লিতে এসেছিলেন বিক্ষোভে শামিল হওয়ার জন্য। ওই জেলারই ডিবডিবা গ্রামের বাসিন্দা নবরীত তিন দিন আগে বিক্ষোভে যোগ দেন। গতকাল দিল্লিতে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধের সময় আইটিও-র কাছে উল্টে যায় তাঁর ট্রাক্টর। তাতেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয় নবরীতের।
আরও পড়ুন ‘এই হিংসা গ্রহণযোগ্য নয়’, কৃষকদের সীমান্তে ফেরার আর্জি জানালেন অমরিন্দর সিং
দিল্লি পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, "বেশ কিছু কৃষক বেপরোয়া ভাবে ট্রাক্টর চালিয়ে আমাদের উপর চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিছু পুলিশকর্মী তাদের আটকাতে গেলে অন্য কৃষকরা আমাদের দিকে তেড়ে আসছিলেন। অনুমান, দুর্ঘটনাতেই প্রাণ হারিয়েছেন ওই যুবক। যদিও বিক্ষোভকারীরা দেহ আগলে রাস্তায় বসেছিলেন, পুলিশকে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাতে দিচ্ছিলেন না।"
ওই অঞ্চলেরই এক কৃষক মণিদেব চতুর্বেদী পুলিশের বক্তব্যকে অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, "পুলিশ নবরীতকে লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাসের শেল ছোঁড়ে। তার একটা শেল নবরীতের মাথায় লাগে আর সে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক্টর উল্টে পড়ে যায়। পুলিশ তাঁকে বের করতেও চায়নি।" পুলিশ জানিয়েছে, নবরীতের পরিবার জানতই না যে তিনি দিল্লিতে কৃষক বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন। উত্তরাখণ্ডে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার নাম করে নাকি তিনি দিল্লিতে চলে আসেন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন