Advertisment

'সংঘর্ষবিরতি চুক্তি ভেঙে জঙ্গি ঢোকানোর কৌশল', পাক ছক ভেস্তে দিচ্ছে সেনা, জানালেন নারাভানে

জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে নতুন করে নিয়ন্ত্রণরেখা অশান্ত করছে পাকিস্তান।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
3 ceasefire violation incidents along LoC in last few weeks, says Army Chief M M Naravane

সীমান্তে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে পাকিস্তান, জানালেন সেনাপ্রধান।

সীমান্তে পাক প্ররোচনা জারি। নতুন করে নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা বাড়িয়েই চলেছে পাকিস্তান। গত কয়েক সপ্তাহে ৩ বার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সংঘর্ষবিরতি চুক্তি মেনে চলেছে পাকিস্তান। তবে জুলাইয়ের শেষ থেকে নতুন করে সীমান্ত অশান্ত করছে পাক সেনা।

Advertisment

শনিবার সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতীয় সেনা চৌকি লক্ষ্য করে তিনবার হামলা হয়েছে। এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ২০০৩ সালের ঘটনা টেনে আনেন সেনাপ্রধান। ওই বছরেও সংঘর্ষবিরতি চুক্তিকে কার্যত শিকয়ে তুলে নিয়ন্ত্রণরেখায় লাগাতার হামলা চালিয়েছিল পাক সেনা। এবার ফের একবার নিয়ন্ত্রণরেখা অশান্ত করে তোলার চেষ্টা জারি পাকিস্তানের। তবে ভারতীয় সেনাও পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিতে পুরোপুরি তৈরি বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান।

গত কয়েক সপ্তাহে বিনা প্ররোচনায় সংঘর্ষবিরতি চুক্তি বারবার লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। এপ্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, “আবার অনুপ্রবেশের নতুন প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ২-৩ বার এই ধরনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছি। সরাসরি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের তিনটি ঘটনা ঘটেছে। একটি পোস্ট থেকে অন্য পোস্ট লক্ষ্য করে গুলি চলছে। বর্তমানে বেশিরভাগ সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে উত্তর কাশ্মীরের শামশাবাড়ি রেঞ্জ এলাকায়।”

নিয়ন্ত্রণরেখায় গত কয়েক সপ্তাহে পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের সঙ্গে আফগানিস্তান পরিস্থিতির যোগ রয়েছে? এপ্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, “সরাসরি এটা বলার সময় এখনও আসেনি। তবে এর আগে কাশ্মীরে ধরা পড়া সন্ত্রাসবাদীদের অনেকেই আফগান বংশোদ্ভুত ছিল। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি খানিকটা স্থিতিশীল হলে আবারও একই ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে। তবে আমরা যে কোনও পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পুরোপুরি তৈরি রয়েছি।” সম্প্রতি কাশ্মীরে একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাধারণ নাগরিক। এপ্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে সেনাপ্রধান বলেন, “সাধারণ নাগরিকদের হত্যা নিন্দনীয়। তারা স্বাভাবিকতা চায় না। অস্তিত্ত্ব জানান দিতেই এ ধরনের কাজ করে চলেছে তারা।”

আরও পড়ুন- লখিমপুরে বিজেপি কর্মীদের মৃত্যুতে বিতর্কিত মন্তব্য টিকায়েতের, নিন্দার ঝড়

পাকিস্তানের পাশাপাশি গত কয়েক বছরে ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়েছে চিন। পূর্ব লাদাখ থেকে শুরু করে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তেও চিনা প্ররোচনা জারি রয়েছে। তবে যুদ্ধই এসব পরিস্থিতির মোকাবিলার পক্ষে যথেষ্ট বলে মনে করেন না সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, “পাকিস্তান এবং চিনের মধ্যে সংঘবদ্ধ একটি প্রয়াস সর্বদা থাকবে। কিন্তু সামরিক বাহিনীর বাইরেও জাতীয়, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক স্তরে সমস্ত পদক্ষেপ করা হবে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে দেওয়া যাবে না, যাতে করে আমরা একইসঙ্গে দুই শত্রুর মুখোমুখি হই।” তবে পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, ভারত নিজের শক্তিতেই সব রকম প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে।

Read full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

kashmir Indian army pakistan Ceasefire Violation General MM Naravane
Advertisment