করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সংসদের বিশেষ বাদল অধিবেশনে একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে। সাংসদদের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আর এতেই ত্রাহি ত্রাহি রব। কপালে চিন্তার ভাঁজ বেড়েছে সাংসদদের। ৩০ জনের বেশি সাংসদের শরীরেই মিলেছে করোনা জীবাণু। উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা সংসদজুড়ে। ফলে বিশেষ পরিস্থিতিতে কাটছাঁট হতে পারে সংসদের বাদল অধিবেশন। জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝিই অধিবেশনে ছেদ টানা হতে পারে।
লকডাউনের সময় কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা ১১ অধ্যাদেশ বিল আকারে লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেলেই বাদল অধিবেশন গুটিয়ে ফেলা হতে পারে। এই বিলগুলো তাই আগামী সপ্তাহের গোড়ার দু-তিন দিনের মধ্যে উভয়কক্ষেই পাশ করিয়ে নিতে মরিয়া শাসক পক্ষ। বিরোধী সাংসদদের অনেকেই বিষয়টি অনুধাবন করতে পারছেন। অন্তত দু'জন বিরোধী রাজনৈতিক দলর সাংসদ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, চলতি বাদল অধিবেশনের মেয়াদ কমানো হতে পারে।
আরও পড়ুন- কয়েক দশক ধরে যারা দেশ শাসন করেছে, তারাই কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছে: মোদী
করোনাকালে বিশেষ পরিস্থিতিতে এমনিতেই বাদল অধিবেশনের মেয়াদ কমানো হয়েছিল। বাতিল করা হয়েছে প্রশ্ন-উত্তর পর্ব। সাংসদদের বলার সময়ও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে বিরোধী শিবিরের তোপের মুখে পড়েছে মোদী সরকার। করোনা বিধি মেনে মুখে মাস্ক পড়া, সামজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি, সাসংদদের উপস্থিতি নথিভুক্ত করার জন্য দেওয়া হয়েছে মোবাইল অ্যাপ। সদস্যদের প্রতিদিন আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া, যেসব মন্ত্রীদের বক্তব্য পেশের অন্তত ৭২ ঘন্টা আগে করানো নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সংসদে জমা দেওয়া বাধ্যততামূলক করা হয়েছে। পলিকার্বনেট চাদর দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে সাংসদদের আসন।
আরও পড়ুন- গান্ধী পরিবারকে নিয়ে অনুরাগের মন্তব্যে লোকসভায় তুলকালাম
এছাড়াও, সাংসদদের কোনও অতিথি অভ্যাগতর সংসদে আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সংসদের কর্মী, সরকারি আধিকারক-কর্মী সহ সাংবাদিকদেরও আরটি-পিসিআর টেস্ট করা হচ্ছে।
শুক্রবারই রাজ্যসভার অধ্যক্ষ বেঙ্কাইয়া নাইডু সদস্যদের নিজেদের মধ্যে কানে কানে কথা বলতে নিষেধ করেন। গুরুত্বপূর্ণ কথা স্লিপে লিখে সারার পরামর্শদেন তিনি। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সাংসদের বলেন, 'নিজের অন্যের জীবন সুরক্ষিত রাখতে মাস্ক পড়ুন,সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখুন।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন