পুলিশে-পুলিশে বিবাদের জেরে হুলস্থুল পড়ে গেল পাটনায়। পাটনা পুলিশ লাইন্সের এক ট্রেনি কনস্টেবলের মৃত্যু ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি, যার জেরে প্রায় ৩০০ জন ট্রেনি মহিলা কনস্টেবলের সঙ্গে পুলিশ অফিসারদের বাঁধলো সংঘর্ষের। কয়েকজন সাংবাদিককেও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন সবিতা কুমারী নামের এক ট্রেনি কনস্টেবল। চিকিৎসার জন্য ছুটির আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি, অসুস্থ অবস্থাতেই ওই ট্রেনি কনস্টেবলকে কাজ করতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন অন্য ট্রেনি কনস্টেবলরা।
গান্ধী ময়দানের কার্গিল চকে কর্মরত ছিলেন সবিতা। তিন দিন আগে কাজ করার সময় সবিতা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন বলে খবর। বৃহস্পতিবার রাতে পটনায় এক বেসরকারি হাসপাতালে সবিতাকে ভর্তি করা হয়। পরের দিন সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন, শবরীমালা মন্দির খোলার আগে ফের ১৪৪ ধারা জারি
সবিতার মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই তাঁর সহকর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পুলিশ লাইন্সের সার্জেন্ট মেজর মহম্মদ মসিলুদ্দিনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তাঁরা। ওই ব্যক্তিই ডিউটি রোস্টারের ইন-চার্জ ছিলেন। ওই পুলিশ আধিকারিকের অফিসে সিসিটিভি এবং অন্য যন্ত্রাংশ ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ লাইন্সের ৩০টি গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়।
ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ঘটনায় পটনা জোনাল ইন্সপেক্টর জেনারেলের নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। অন্যদিকে, এ ঘটনায় পুলিশ লাইন্সের রোস্টার ইন-চার্জকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে ডিজিপি কে এস দ্বিবেদীকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দ্বিবেদী জানিয়েছেন যে ট্রেনি কনস্টেবলদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হতে পারে।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে বিহার পুলিশের মুখপাত্র ও এডিজিপি এস কে সিঙ্ঘল বলেন যে, পাটনা জোনাল আইজি এ ঘটনা খতিয়ে দেখছেন। কোন পরিস্থিতিতে ট্রেনি কনস্টেবলরা সিনিয়রদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, এ ঘটনায় সরকারকে কটাক্ষ করে বিরোধী নেতা তেজস্বী যাদব বলেন, "দুষ্কৃতীদের বদলে, পুলিশ নিজেদের সঙ্গেই লড়ছেন।"
Read the full story in English