Advertisment

সন্দেহভাজন বাংলাদেশি সেনা আধিকারিক গ্রেফতার ত্রিপুরায়, আদালতে মিলল জামিন

রাজু চৌধুরীর আইনজীবী মৃণালকান্তি বিশ্বাস অবশ্য অস্বীকার করেছেন, আজম খান বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি আরও বলেন আজম খানের বাবার নাম ১৯৫৭ সালে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে নথিভুক্ত রয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রাজু চৌধুরী ওরফে আজমা খান

সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে রাজু চৌধুরী নামের এক ব্যক্তিকে বুধবার গ্রেফতার করে ত্রিপুরা পুলিশ। রাজু চৌধুরীর আসল নাম আজম খান বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তি বাংলাদেশ সেনার কম্যান্ডার ছিলেন বলে স্বীকার করেছে প্রাথমিক জেরায়। বৃহস্পতিবার ওই ব্যক্তিকে আদালতে পেশ করা হলে অতিরিক্ত মুখ্য জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সর্বজিৎ চৌধুরী তাঁকে জামিন দেন।

Advertisment

ত্রিপুরা সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুমন মজুমদার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাংবাদিককে জানিয়েছেন, বুধবার আখাউরা রোড থেকে রাজু চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন, ১৫ নয়, ১০টি নথির মাধ্যমে এন আর সি-তে নাম তুলতে পারবেন আসামের ৪০ লাখ বাসিন্দা, মত শীর্ষ আদালতের

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত নিজেই স্বীকার করেন তিনি বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন, সে দেশের সেনায় কাজও করেছেন। আন্তর্জাতিক সীমানা পেরিয়ে ত্রিপুরায় ঢুকেছিলেন বলেও জেরায় স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত।

পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী রাজু ওরফে আজম খান বর্তমানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন সহ অনেক সরকারি হাসপাতাল এবং দফতরের জলের কলের কন্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ করে থাকেন। আজম খানের স্ত্রী নাসিমা খাতুন ভারতীয় নাগরিক। তাঁদের একটি সন্তানও রয়েছে।

রাজু চৌধুরীর আইনজীবী মৃণালকান্তি বিশ্বাস আজম খানকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে মানতে অবশ্য অস্বীকার করেছেন। তিনি আরও বলেন আজম খানের বাবার নাম ১৯৫৭ সালে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে নথিভুক্ত রয়েছে।

রাজু চৌধুরীর স্ত্রী নাসিমা এর আগেই রাজুর বিরুদ্ধে পারিবারিক বিবাদের অভিযোগ এনেছিলেন। এই প্রসঙ্গে রাজুর আইনজীবী মৃণালকান্তি বিশ্বাস বলেছেন, "পারিবারিক বিবাদ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতেই বিচারপতি অরিন্দম লোধ জানিয়েছিলেন রাজুর কাছে বৈধ ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, থাকায় তিনি ভারতীয় নাগরিক হিসেবেই গ্রাহ্য''।

চলতি বছরের মে মাসে আরও ২৪ জন বাংলাদেশিকে আগরতলা রেল স্টেশন থেকে 'সন্ত্রাসবাদী' সন্দেহে গ্রেফতার করে পুলিশ। সিবিআই-এর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুমান করা হয়েছিল তারা পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর হয়ে কাজ করে।

tripura
Advertisment