/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/06/tiktok-759.jpg)
প্রতীকী ছবি।
সীমান্ত উত্তেজনার আবহে চিনের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপের পথে হাঁটল কেন্দ্র সরকার। টিকটক, শেয়ারইট, ইউসি ব্রাউজারের মতো জনপ্রিয় চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করল ভারত সরকার। টিকটক, শেয়ারইট, ইউসি ব্রাউজার, লাইকি, ইউচ্যাট, বিগো লাইভ-সহ মোট ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করল তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রক।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/06/app.jpg)
সূত্রের খবর, এই ঘোষণার আগে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও বাণিজ্যমন্ত্রী পিযুষ গোয়েল বৈঠক করেন। সেখানেই চিনা অ্যাপ ব্লক করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। ব্লক করা অ্যাপগুলি হল, টিকটক, শেয়ারইট, ইউসি ব্রাউজার, লাইকি, ইউচ্যাট, বিগো লাইভ। এছাড়াও নিষিদ্ধ অ্যাপের তালিকায় রয়েছে ক্লাব ফ্যাক্টরি, এমআই কমিউনিটি, ভাইরাস ক্লিনার, এমআই ভিডিও কল-শাওমি, হেলো, বিউটি প্লাস, ক্যাম স্ক্যানার, সুইট সেলফি, প্যারালেল স্পেস, ইউসি নিউজ, উই মিট, ডিইউ রেকর্ডার, মোবাইল লেজেন্ডস, ওন্ডার ক্যামেরা।
তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে, ওই অ্যাপগুলি 'দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, দেশের সুরক্ষার জন্য ক্ষতিকারক। সেকারণেই ওই অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।' তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৯এ ধারায় অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ১৩০ কোটি ভারতবাসীর তথ্য সুরক্ষিত রাখার প্রশ্নে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্ল্যাটফর্মে মোবাইল অ্যাপকে অপব্যবহার করে গ্রাহকদের তথ্য চুরি করা হচ্ছে বলে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছিল তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকে। এরপরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে। লাদাখে সীমান্ত সংঘাতের আবহে চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার মতো সিদ্ধান্ত উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন- আজ ফের জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন মোদী
তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, যারা ইতিমধ্যেই এইসব অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন নিষেধাজ্ঞার পর তাদের কাছে আর আপডেটস আসবে না। ইন্টারনেট প্রোভাইডারদেরও এইসব প্ল্যাটফর্ম ব্লক করার নির্দেশ দেওয়া হবে। গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরকে ব্লক করা অ্যাপগুলি সরানোর জন্য ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক।
ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটির প্রধান রাজেশ পন্থ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, 'তথ্য কোথায় যাচ্ছে, লুকনো কোডগুলি কি, এগুলি অনুসদ্ধানের প্রযুক্তিগত উপায় রয়েছে। সেইসব খতিয়ে দেখে এবং একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার ওইসব অ্যাপ ব্লক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।' পন্থের কথায়, বল্ক করা অ্যাপগুলির বেশ কয়েকটি চিনের, আবার বেশ কয়েকটি সিঙ্গাপুরে নথিভুক্ত হলেও তার সার্ভার রয়েছে চিনে, তথ্যও সংগ্রহ করে চিন। এই সিদ্ধান্তের ফলে কী প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ধাক্কা খেতে পারে? এই বিষয়ে পন্থ উল্লেখযোগ্যভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
Read the full story here in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন