প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাঠানো ৪৯ জন বিশিষ্টদের চিঠির পাল্টা হিসেবে ফের চিঠি লিখলেন বিশিষ্টজনরা। এবার প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি লিখলেন আরও ৬১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। চিঠিতে সই রয়েছে অভিনেতা কঙ্গনা রানাওয়াত, গীতিকার প্রসূন যোশী, পরিচালক মধুর ভান্ডারকর-সহ অনেকের। চিঠিতে সই রয়েছে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া টলিউডের অভিনেতা পার্নো মিত্র, কাঞ্চনা মৈত্রদের।
আরও পড়ুন: মোদীকে চিঠি দিলেন অপর্ণা-অঞ্জন সহ বিদ্বজ্জনেরা
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘২৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রীকে ৪৯ জন বিশিষ্টদের পাঠানো চিঠি দেখে বিস্মিত হয়েছি। বিশেষ কিছু বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরব হওয়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ওই চিঠি পাঠিয়ে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। কয়েকটি ঘটনায় মিথ্যা ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে...মাওবাদী হামলার সময় কোথায় ছিলেন তাঁরা? যখন কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা স্কুল জ্বালিয়ে দিয়েছিল, তখনও ওঁরা নীরব ছিলেন। বিরোধী মতপ্রকাশের নামে ঐক্য নষ্টের চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের কাছে দেশের ঐক্য, সংহতি পবিত্র বিষয়। যাঁরা এসবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবেন, তাঁদের রোখা হবে।’’
আরও পড়ুন: মোদী সরকারকে বিঁধে নুসরতের টুইট, পাল্টা দিলীপ
চিঠি প্রসঙ্গে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, ‘‘যে বিষয়গুলি উল্লেখ করে চিঠি দেওয়া হয়েছিল আগে, সেটা অত্যন্ত একপেশে। সমস্ত বক্তব্যকে ভুল ব্যাখ্যা করে লেখা হয়েছে। সেখানে একটি নির্দিষ্ট জাতির নিপীড়নের উল্লেখ রয়েছে। কাশ্মিরী পণ্ডিতদের উপর হামলা, তিন তালাকের মতো প্রথা, নারীদের উপর অত্যাচার... এই বিষয়গুলির উল্লেখ নেই। হিন্দু মহিলাদের অত্যাচারের বর্ণনা নেই কেন? সেই কারণেই আমি ওই চিঠির বিষয়ে আপত্তি জানাচ্ছি’’। পরিচালক রণদীপ সরকার বলেন, ‘‘কারও প্ররোচনায় ওই চিঠি দেওয়া হয়েছিল’’।
উল্লেখ্য, ক’দিন আগেই জয় শ্রীরাম, গণপিটুনি, অসহিষ্ণুতা, ধর্মীয় মেরুকরণের মতো বিষয়গুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়ে অদূর গোপালকৃষ্ণণ, অপর্ণা সেন, অঞ্জন দত্ত, কেতন মেহতা, অনুরাগ কশ্যপ, গৌতম ঘোষ, শ্যাম বেনেগাল, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্টরা চিঠি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। যে চিঠি ঘিরে আলোড়ন পড়ে যায় জাতীয় রাজনীতিতে। সেই চিঠির পাল্টা হিসেবে এদিন ফের বিশিষ্টদের একাংশ যেভাবে চিঠি লিখলেন, তা রাজনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।