শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন বর্বর ঘটনায় লজ্জায় মুখ ঢাকল গোটা দেশ। গুজরাটের ভূজ এলাকার শ্রী সহজানন্দ গার্লস ইনস্টিটিউটে ছাত্রীদের অন্তর্বাস খুলে ঋতুস্রাব না হওয়ার প্রমাণ দিতে হল। গোটা ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ রীতা রানিঙ্গা, হস্টেল কো-অর্ডিনেটর অনিতা চৌহান, হস্টেল সুপারভাইজার রামিলাবেন এবং পিওন নয়নাবেনকে আটক করেছে পুলিশ। যৌন হয়রানি, চাঁদাবাজি, অপরাধমূলক ভয় ও অন্যান্য অভিযোগে শুক্রবার তাঁদের আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘প্রেমে পড়ব না, লভ ম্যারেজ করব না’, ছাত্রীদের ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র শপথ
উল্লেখ্য, কলেজের হস্টেলের নিয়ম অনুযায়ী, ঋতুস্রাব চলাকালীন কোনও ছাত্রী হস্টেলে বাস করতে পারবে না। আর সেই নিয়ম ভাঙা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতেই ছাত্রীদের পোশাক খুলে পরীক্ষা করে তাঁরা। যদিও কচ্ছ (পশ্চিম) পুলিশ সুপার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, "আমাদের থানার একটি মহিলা পুলিশের দল সেখানে গিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে একজন মহিলা কাউন্সেলরও ছিলেন। কাউন্সেলিংয়ের পর, এক শিক্ষার্থী অভিযোগ দায়ের করেছিলেন যে তাদের অন্তর্বাস খুলতে বলার পাশাপাশি ক্ষমা চেয়ে একটি আবেদনপত্রও লিখতে বলা হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অধ্যক্ষ এবং অন্যান্যদের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪-এ (যৌন হয়রানি), ৩৮৪ (চাঁদাবাজি), ৫০৬ (২) (ফৌজদারি ভয় দেখানো) ইত্যাদির অধীনে আটক করেছি।"
আরও পড়ুন: ‘ধর্ম বাঁচানোর জন্য নয়, স্কুল কলেজ তৈরির জন্য সরকার নির্বাচন করেছি’, মোদীকে তোপ কানহাইয়ার
প্রসঙ্গত, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং হস্টেল দুটিই পরিচালিত হয় ভূজের স্বামীনারায়ণ সম্প্রদায় দ্বারা। কলেজটি আর্টস, সায়েন্স অ্যান্ড কমার্স এবং সার্টিফিকেট কোর্সের স্নাতক কোর্সও পড়ানো হয়। কলেজের স্নাতকস্তরের পড়ুয়ারা এই ভয়ঙ্কর অভিযোগ করেন পুলিশের কাছে যে মোট ৬৬জন ছাত্রীকে অন্তর্বাস খুলে এই পরীক্ষার সন্মুখীন হতে হয়েছে। দু'জন ছাত্রী খুব জোর দিয়েই বলেন যে কলেজের কর্তৃপক্ষ তাঁদের বাধ্য করে একে একে ওয়াশরুমে গিয়ে এই কাজটি করতে। ওই হস্টেলের নিয়ম অনুযায়ী, ঋতুস্রাব চলাকালীন ছাত্রীদের বেসমেন্ট অঞ্চলে একটি আলাদা জায়গায় থাকতে হবে এবং রান্নাঘর এবং উপাসনা স্থান থেকে দূরে থাকতে হবে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন