হিমাচলের কুল্লুতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। পর্যটক বোঝাই একটি গাড়ি খাদে পড়ে ৭ পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে এই ঘটনায় ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনার পর তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কুল্লুর বাঞ্জার উপত্যকা এলাকায় গতকাল রাত সাটে আটটা নাগাদ ঘটে এই দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় আহত ১০ জনের মধ্যে ৫ জনকে কুল্লুর জোনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকি ৫ জনকে বাঞ্জাররে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে, গতকাল রাতে খারাপ আবহাওয়ার কারণেই ঘটে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। গভীর রাত পর্যন্ত চলে উদ্ধার অভিযান। আহতদের সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। রবিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ কুল্লু্ বাঞ্জার এলাকায় যাত্রীবোঝাই একটি টেম্পো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এই ঘটনায় সাতজন পর্যটক নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ১০ জন। রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ শেষ হয়। নিহতদের মধ্যে রয়েছে ৫ জন পুরুষ এবং ২ জন মহিলা। যাত্রীদের মধ্যে তিনজন আইআইটি বারানসির ছাত্র বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে পুলিশ। বানজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনার বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।
কুল্লুর এসএসপি গুরদেব শর্মা জানিয়েছেন, "খারাপ আবহাওয়া থাকার কারণে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়িতে মোট ১৬ জন যাত্রী ছিলেন। ঘটনাস্থলেই পাঁচজন মারা যান, আহত ১১ জনকে বাঞ্জারের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়"।
আরও পড়ুন: < তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে চলল গুলি, চূড়ান্ত উত্তেজনা কামারহাটিতে >
আহতদের উদ্ধার করতে পুলিশ, হোমগার্ড ও স্থানীয় লোকজন তিন ঘণ্টা ধরে উদ্ধার কার্য্যে হাত লাগান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সকলেই দিল্লি থেকে একটি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে কুল্লুতে বেড়াতে এসেছিলেন। খারাপ আবহাওয়ার কারণে আহতদের উদ্ধার করতে বেগ পেতে হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বানজার বিধায়ক সুরেন্দ্র শৌরিও। আহতদের দ্রুত বানজার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্ঘটনার ঘটনায় আহতরা বাঞ্জার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।