করোনা কালে বার বারই বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তার কথা সামনে এনেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সেই সঙ্গে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাও বারবার বলেছে সংক্রমণ ঠেকাতে বুস্টার ডোজ অপরিহার্য। এবার বুস্টার ডোজের কার্যকারিতা নিয়েই সামনে এল নতুন তথ্য।
সমীক্ষা অনুসারে দেখা গিয়েছে বুস্টার ডোজ নেওয়া ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ করোনার তৃতীয় ঢেউকালীন সময়ে ওমিক্রন প্রজাতি দ্বারা আক্রান্ত হননি। এই সমীক্ষাই নতুন প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে তবে কি ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে বুস্টার ডোজ অপরিহার্য? ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে দেখা গিয়েছে ৬ হাজার মানুষের ওপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে এবং দেখা গিয়েছে ৭০ শতাংশ মানুষ তৃতীয় ঢেউকালে ওমিক্রন প্রজাতিতে আক্রান্ত হননি।
ন্যাশানাল কোভিড টাস্ক ফোর্সের সহ-চেয়ারম্যান ডাঃ রাজীব জয়দেবনের নেতৃত্বে করা গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে সকল মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেননি। সমীক্ষায় মোট ৫হাজার ৯৭১ জন মানুষের ওপর করোনা ভাইরাসের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
যার মধ্যে ২৪শতাংশের বয়স ৪০ বছরের কম এবং ৫০ শতাংশের বয়স ৪০ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া মোট জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ মহিলা এবং ৫৩ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী। সমীক্ষা অনুসারে দেখা গিয়েছে ৫হাজার ৯৭১ জনের মধ্যে ২হাজার ৩৮৩ জন বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন এবং ওমিক্রন প্রজাতিতে আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ৩০ শতাংশ। অর্থাৎ ৭০ শতাংশ মানুষ বুস্টার ডোজ গ্রহণ করে ওমিক্রন থেকে সুরক্ষা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে মমতার বাড়িতে কেজরিওয়াল, শুভেচ্ছা বিনিময় ছাড়াও একাধিক বিষয়ে বৈঠক
গবেষকরা আরও দেখেছেন টিকা নেওয়ার ৬ মাসের পর থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়তে থাকে সেক্ষেত্রে বুস্টার ডোজ একমাত্র বিকল্প হিসাবে কাজ করে। সেই সঙ্গে টিকা গ্রহণের ৬ মাসের আগে বুস্টার ডোজ সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ ভাবে কার্যকর নয়।
গবেষণায় দেখা গেছে যে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ বছরের কম বয়সীরা। সেক্ষেত্রে আক্রান্তের হার ৪৫ শতাংশ। ৮০ বছরের ওপরে সংক্রমণের হার সবথেকে কম মাত্র ২১.২ শতাংশ। গবেষকরা আরও দেখেছেন করোনা ঠেকাতে কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড দুটি টিকার কার্যকারিতা প্রায় সমান।