মধ্যপ্রদেশের খারগোনের বিভিন্ন এলাকায় রাম নবমীর মিছিল ঘিরে হওয়া গন্ডগোলের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। রবিবার রামনবমীর মিছিল বেরতেই ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায় খারগোনে। কমপক্ষে ১০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সংঘর্ষে জখম হন বেশ কয়েকজন। গন্ডগোল থামাতে গিয়ে জখম হন পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ চৌধরি।
সোমবার মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেন, ''পুলিশ সুপারের পায়ে গুলি লেগেছে। হিংসার জেরে আরও ৬ পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। তবে তাঁরা প্রত্যেকেই এখন ভালো আছেন এবং বিপদমুক্ত আছেন। এই ঘটনায় পুলিশ ছাড়াও শিবম শুক্লা নামে এক ব্যক্তিও আহত হয়েছেন। তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছে। তবে আহতদের কারও শারীরিক পরিস্থিতি সংকটজনক নয়।''
জানা গিয়েছে, রবিবার রামনবমী উপলক্ষে খারগোনের তালাব চক এলাকা থেকে একটি মিছিল বের হয়েছিল। সেই মিছিলটি ৫০০ মিটার এগোতেই হঠাৎ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের শেলও ফাটানো হয়।
আরও পড়ুন- রামনবমীর মিছিল ঘিরে সংঘর্ষ, পরিস্থিতি সামাল দিতে জারি কারফিউ
সূত্রের খবর, মিছিল চলাকালীন একটি উসকানিমূলক গান বাজানোর বিরোধিতা করলে তালাব চক মসজিদের কাছে সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনার ভিডিওতে দেখা গেছে, একদল জনতা মসজিদ এবং তার আশেপাশে থাকা বাড়িগুলি লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ছে। বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র রবিবার 'শ্রীরাম জন্মোৎসব শোভা যাত্রা'য় যোগ দিতে খারগোনে ছিলেন। টুইটারে একটি ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “না মুসা না বুরহান, বস জয় শ্রী রাম।"
খারগোনের কালেক্টর আরও জানান, তালাব চকে সংঘর্ষের পরপরই আশেপাশের এলাকাগুলিতেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কাজিপুরা-সহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খারগোন শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে পার্শ্ববর্তী বারওয়ানি জেলার সেধওয়া ব্লকেও একই রকম সংঘর্ষ এবং পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে।
Read story in English