প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান থেকে অনবরত ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে সদা সতর্ক সেনাবাহিনী। গত বছরে পাকিস্তান থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে ৭৭ জঙ্গি নিহত হয়েছে। এরই পাশাপাশি অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংসদে এমনই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। একইভাবে ২০২০ সালে পাকিস্তান থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় সেনার গুলিতে ৯৯ জঙ্গি নিহত হয়েছিল। সে বছর ১৯ জঙ্গিকে ধরে ফেলেছিলেন জওয়ানরা।
পাকিস্তান থেকে মূলত ভারতের জম্মু কাশ্মীর সীমান্ত দিয়েই জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলে। উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তে অনবরত সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে চলেছে পাকিস্তান। এমনই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। জম্মু কাশ্মীর-সহ ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে ২০২১-এ সন্ত্রাসবাদীদের আক্রমণে ৪২ নিরাপত্তাকর্মী শহিদ হয়েছিলেন, ১১৭ জন আহতও হয়েছিলেন। ২০২০ সালে এই পরিসংখ্যান ছিল যথাক্রমে ৬২ ও ১০৬ জন।
আরও পড়ুন- ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবির মুক্তির পরেই বিশেষ কয়েকটি অঞ্চলে নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে দিল্লি পুলিশ
উল্লেখ্য, ২০২১-এর ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। পরবর্তীকালে ভারত-পাক সীমান্তে গুলি চালানোর ঘটনাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে শুরু করে। সীমান্তের এই শীতলতার প্রভাব অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রেও পড়ার কথা ছিল। তবে তা হয়নি।
ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সূত্রগুলি জানিয়েছে, পাকিস্তান তাদের সীমান্তের ওপার থেকে ক্রমাগত ভারতীয় ভূখণ্ডে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে ভূস্বর্গে সন্ত্রাসবাদে মদতও দিয়ে চলেছে পাকিস্তান। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি কাশ্মীরে ক্রমাগত অশান্তির বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নে একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সংসদে উপত্যকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে একটি প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানান, সরকার আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য এবং প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছে।
Read full story in English