কোভিশিল্ড টিকার দুটি ডোজের মধ্যে ৮৪ দিনের ব্যবধান নিয়ে এবার কেন্দ্রের কাছে জবাবদিহি চাইল কেরল হাইকোর্ট৷ একটি বেসরকারি সংস্থা তার কর্মীদের কোভিশিল্ড টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়৷ সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কোভিশিল্ড টিকার দুই ডোজের মধ্যে ৮৪ দিনের ব্যবধান প্রসঙ্গে জানতে চাইল আদালত৷ টিকার কার্যকারিতা নাকি অপ্রতুলতা? কোভিশিল্ড টিকার দুই ডোজের মধ্যে ৮৪ দিনের ব্যবধানের পিছনে কেন্দ্রের যুক্তি ঠিক কী? স্পষ্টভাবে তা জানতে চেয়েছে কেরল হাইকোর্ট৷
করোনার সংক্রমণ এড়াতে টিকাকরণ কর্মসূচিতে আরও বেশি জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ সেরাম ইন্সটিটিউটের করোনা টিকা কোভিশিল্ডের প্রয়োগ চলছে দেশজুড়ে৷ সর্বপ্রথম অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার ফর্মুলায় তৈরি এই টিকার প্রয়োগই শুরু হয় দেশে৷ বর্তমানে কোভিশিল্ড টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার ৮৪ দিন পরে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে৷ কেরলের একটি বেসরকারি সংস্থা কিটেক্স গার্মেন্টস৷ সংস্থাটি ইতিমধ্যেই তার পাঁচ হাজারের বেশি কর্মীকে কোভিশিল্ড টিকার প্রথম ডোজ দিয়েছে৷ তবে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে৷ কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী বর্তমানে কোভিশিল্ড টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ৮৪ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে৷
ওই সংস্থাটি কেরল হাইকোর্টে জানিয়েছে, কর্মীদের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া গেলেও কেন্দ্রের নিয়মের গেরোয় কোভিশিল্ড টিকার দ্বিতীয় ডোজটি তারা দিতে পারছেন না৷ সংস্থার এই বক্তব্য নিয়ে পর্যবেক্ষণের সময় কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন খোদ বিচারপতি পি বি সুরেশ কুমারও৷ কারণ তিনি নিজেও কোভিশিল্ড টিকার দ্বিতীয় ডোজটি চার থেকে ছয় সপ্তাহ পরে নিয়েছিলেন৷ বিচারপতি পি বি সুরেশ কুমার বলেন, ‘‘কার্যকারিতাই যদি মূল বিষয় হয় তবে আমি নিজেও তো চিন্তায় পড়ে গেলাম৷ আমিও প্রথম ডোজের চার থেকে ছয় সপ্তাহ পরে টিকার দ্বিতীয় ডোজটি নিয়েছি৷’’
আরও পড়ুন- ‘প্রেসিডেন্ট দেশ ছাড়তেই বুঝেছিলাম সব আশা শেষ’, বললেন আফগান সাংসদ আনারকলি
এরই পাশাপাশি বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, যদি ভ্যাকসিনের জোগানই দুই ডোজের মধ্যে ওই ব্যবধানের কারণ হয়, তবে অন্যভাবে ভাবতে হবে৷ কিটেক্স সংস্থার মতো যে সংস্থা বা যাঁরা টিকার দ্বিতীয় ডোজ কিনে নিতে পারবেন, তাঁদের তা নেওয়ার ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া উচিত৷ তবে টিকার কার্যকারিতা যদি দুই ডোজের ব্যবধানের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়, সেক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক তথ্য দেওয়া প্রয়োজন৷ এই আবেদনের পরবর্তী শুনানি আগামী ২৬ অগাস্ট৷
কোভিশিল্ড টিকার প্রথম ডোজ থেকে ৮৪ দিন শেষ হওয়ার পরেই দ্বিতীয় ডোজ কেন? এপ্রসঙ্গে গত ১২ অগাস্ট কেরল সরকারকে প্রশ্ন করেছিল হাইকোর্ট৷ কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মেনেই এব্যাপারে পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে হাইকোর্টে জানিয়েছিল পিনারাই বিজযনের সরকার৷ এবার কেন্দ্রীয় সরকারকেও কোভিশিল্ড টিকার প্রথম ডোজের পর থেকে ৮৪ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করল কেরল হাইকোর্ট৷
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন