Advertisment

উপত্যকায় জনজীবন ব্যহত করেই ভোট প্রস্তুতি তুঙ্গে

যদিও শুক্রবার অনন্তনাগের প্রশাসন জানিয়েছে স্কুলপড়ুয়া, সরকারি কর্মী এবং আপতকালীন পরিষেবার ক্ষেত্রে জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে, তবু বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি। 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বিয়ের দিনে শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়ক দিয়ে একটু যেতে হবে। তার জন্য সিকিউরিটি পাস জোগাড় করতে তিন দিন ধরে হন্যে হয়ে ঘুরতে হচ্ছে ড্যানিশ আলি ভাটকে। শনিবার সকালে যখন শেষমেশ অনুমতি এল, বরযাত্রী তখন অন্য রাস্তা ধরে রওনা দিয়ে দিয়েছে কনের বাড়ির উদ্দেশে।

Advertisment

অনুমতি পত্রে সই করা অনন্তনাগের অতিরিক্ত জেলাশাসক জানালেন ড্যানিশ আলি ভাটেদের পরিবারের ১২ জনকে ৪টি গাড়িতে ২ দিনের জন্য  শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনুমতি পত্রে উল্লেখ রয়েছে গাড়ির নাম্বার প্লেটের।

তবে প্রশাসনিক অনুমতি পাওয়ার এক দিন আগেই কনের বাড়ির দিকে রওনা হয়েছে বরপক্ষ।

যদিও শুক্রবার অনন্তনাগের প্রশাসন জানিয়েছে স্কুলপড়ুয়া, সরকারি কর্মী এবং আপতকালীন পরিষেবার ক্ষেত্রে জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে, তবু বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি।

জম্মু কাশ্মীরে ভোটের আগে প্রাক নির্বাচনী নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই নিয়ম করেছে কেন্দ্র। জাতীয় সড়কের ২৭০ কিলোমিটার অঞ্চল (উধমপুর থেকে বারামুল্লা) জুড়ে সপ্তাহে দু'দিন রবি এবং বুধবার ভোর ৪টে থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত নাগরিকদের জন্য বন্ধ থাকছে জাতীয় সড়ক। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত এই নিয়ম চালু থাকবে।

আরও পড়ুন, কাশ্মীরে গ্রেফতার ২০১৭-র সিআরপিএফ হামলায় অভিযুক্ত ‘জইশ জঙ্গি’

নির্বাচনের সময়ে জাতীয় সড়ক পরিদর্শনে থাকবেন যে সমস্ত ম্যাজিস্ট্রেট, তাঁদের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে শনিবার।

ড্যানিশ আলির বিয়ে ঠিক হয়েছিল মাস দুয়েক আগে। কনে থাকেন জম্মুর দোদা জেলায়। বুধবার জাতীয় সড়কের ওপর যান চলাচলের নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে জানতে পারেন আলি। "শুক্রবার সারাটা দিন আমরা এক অফিস থেকে আরেক অফিস ছোটাছুটি করেছি। শেষে ডেপুটি কমিশনার আমাদের আবেদনপত্র এসএসপিকে পাঠালেন" বললেন ড্যানিশ আলি।

কান্দিজাল গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণীর সদফ ফায়াজও ভয়ে ভয়ে ছিল কীভাবে পাতালবাগে তার স্কুলে পৌঁছবে। দেড় কিলোমিটারের পথ সদফকে এখন যেতে হচ্ছে ৮ কিলোমিটার ঘুরে। "আমায় হাইওয়ে দিয়ে যেতে না দিলে আমি স্কুলে যেতেই পারব না", ভয়ে ভয়ে বলতে শোনা গেল সদফকে।

যান পরিষেবা বাবদ খরচ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি, জানালেন সদফের বাবা। "আগে মাসে ৫০০ টাকা দেওয়া হত, এখন ১৩০০ টাকা চাইছে"।

ইমন, ইলহান এবং মুদাসির, ওদের বয়স, ৩, ৬ কারোর ৯। এদের স্কুল যাওয়া বন্ধই হয়ে গিয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। খুদে পরুয়াদের বাবা সাংবাদিকদের কাছে উগড়ে দিলেন ক্ষোভ, "রাস্তা কাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে? সাধারণ মানুষের জন্য, নাকি সেনাদের জন্য?"

General Election 2019 election commission
Advertisment