বৃহস্পতিবার, জামনগর জেলার জামজোধপুর তালুকে প্রায় ২,১০০ ভোটারের এক গ্রাম ধ্রাফায় একটিও ভোট পড়েনি। কারণ বাসিন্দারা তাঁদের ঐতিহ্যবাহী শুধুমাত্র মহিলাদের ভোটকেন্দ্রকে এবার সাধারণ ভোটকেন্দ্রে রূপান্তরিত করার প্রতিবাদে ভোট বয়কট করেছেন। ধ্রাফায় প্রায় ১,২০০ পুরুষ ভোটার এবং ৯০০ মহিলা ভোটার আছেন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) গ্রামের দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তালুকা শালা ও কন্যাশালায় একটি করে ভোটকেন্দ্র তৈরি করেছে।
প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক, বর্তমান বিজেপি নেতা ব্রিজরাজ সিংহ জাদেজা এই প্রসঙ্গে বলেন, 'আমাদের গ্রাম ওজল প্রাথায় বিশ্বাস করে (মহিলারা তাঁদের মুখ ঢেকে রাখেন এবং জনসমক্ষে বিপরীত পুরুষদের সঙ্গে মেশেন না)। স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের গ্রামে শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু, এবারের নির্বাচনে শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য থাকা বুথকে সাধারণ বুথ করেছে নির্বাচন কমিশন। তাই, গ্রামবাসীরা ২৫ নভেম্বর একটি সভা করেছেন। আর, ভোট বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।'
আরও পড়ুন- অভিষেককে জবাব দিতে ‘ধনুকভাঙা পণ’ শুভেন্দুর, ডায়মন্ড হারবারের সভায় কোর্টের ছাড়
জামনগরের জেলাশাসক ও জেলা নির্বাচনী আধিকারিক (ডিইও) সৌরভ পারধি গ্রামবাসীদের কাছে জামজোধপুরের মহকুমাশাসক ও বিডিওকে পাঠিয়েছিলেন। তাঁরা গ্রামবাসীদের ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু, গ্রামবাসীরা তাঁদের কথা শোনেননি। আর, ভোট না-দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, গোটা ভোটগ্রহণ পর্ব চলাকালীন একজন ভোটারও এখানে ভোট দেননি।
ধ্রাফার মোড়ল ধর্মেন্দ্র সিংহ জাদেজা বলেন, তাঁরা স্থানীয় শিক্ষকের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন যে নির্বাচন কমিশন কন্যাশালা বা বালিকা বিদ্যালয়ে শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য বুথের ব্যবস্থা এবার আর করেনি। বদলে সেখানে সর্বসাধারণের ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তৈরি করেছে। ধর্মেন্দ্র সিংহ জাদেজা বলেন, 'আমরা মহকুমা শাসক ও বিডিওকে বলেছিলাম যে আমাদের গ্রামের মহিলারা পুরুষদের পাশাপাশি সারিতে দাঁড়াবে না। এই নিয়ে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছি। কিন্তু, নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবি মানেনি। তাই কেউ ভোট দিতে যাননি।'
Read full story in English