স্ত্রীকে স্বামী মারধর করেছে। বধূ নির্যাতনের এমন অভিযোগ এদেশে নেহাত কম না। কিন্তু, এটা উলটো ঘটনা। স্বামীকেই কথায় কথায় মারধর করেন স্ত্রী। অনেককে সেকথা জানিয়েও ছিলেন পেশায় শিক্ষক হরিয়ানার অজিত যাদব। কিন্তু, প্রায় সবাই হেসেই উড়িয়ে দিয়েছেন কথাগুলো। বরং, স্ত্রীকে আরও বেশি করে আদর করার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু, সেসব কথায় যে প্রতিদিনের মারধরের যন্ত্রণা ভোলা যায় না! বাধ্য হয়ে অজিত যাদব তাই তাঁকে মারধরের ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করার ব্যবস্থা করেন। স্ত্রী সুমন যাদব অবশ্য সেসব জানতেন না। তিনিও অন্যদিনের মতোই বেজায় সুখে স্বামীকে বেদম প্রহার করেন। আর, সেই দৃশ্যই ভিডিও ক্যামেরায় বন্দি হয়।
প্রমাণ হাতে পাওয়ার পর সেই ভিডিও নিয়ে সোজা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অজিত যাদব। আদালতের কাছে তাঁর আর্জি, 'এই মারকুটে স্ত্রীর হাত থেকে রেহাই দিন।' বিচারকও এই মারধরের দৃশ্য দেখে রীতিমতো হতচকিত হয়ে গিয়েছেন। তিনি পুলিশকে ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু, কেন অজিত যাদবকে তাঁর স্ত্রী মারধর করছেন? রাজস্থানের আলোয়ার জেলার ভিওয়াদি এলাকার সরকারি স্কুলের শিক্ষক অজিত যাদবের অভিযোগ, স্ত্রী চান বাড়ি তাঁর নামে লিখে দিতে হবে। তাতে রাজি নন ওই স্কুলশিক্ষক। তার জন্যই মধ্য চল্লিশের ওই স্কুলশিক্ষককে প্রতিদিন এমন মারধর খেতে হয়।
আরও পড়ুন- উলটো সুর, কেন্দ্র তামিল ভাষা-সংস্কৃতিকে জনপ্রিয় করার ব্যাপারে দায়বদ্ধ, দাবি মোদীর
সাংবাদিকদের অজিত যাদব বলেন, 'আমাদের প্রায় নয় বছর হল বিয়ে হয়েছে। আমার স্ত্রী তুচ্ছ ঘটনায় আমার সঙ্গে ঝগড়া করে ও আমাকে মারধর করে। হাতের কাছে যা পায়, তাই দিয়ে মারে। বাসনপত্র, পাইপ, আমাদের সন্তানদের ক্রিকেট ব্যাট- যা পায়। সে চায়, ফ্ল্যাটটা তাঁর নামে করে দিতে হবে। আমি একজন শিক্ষক, মহিলাদের সম্মান করি। আমি তাই আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারি না। পালটা মারধর করতে পারি না। আমাদের এক আট বছরের বাচ্চা আছে। তার মুখ চেয়েই সব সহ্য করছি। কিন্তু, অত্যাচার এখন বেড়ে গেছে। গত কয়েক বছর ধরেই বাড়ছিল। কিছু পোশাক পুড়িয়ে দিয়েছে। কয়েকটা কাচি দিয়ে কেটে দিয়েছে। আর, সহ্য করতে পারছি না।'
Read full story in English