বান্ধবীর দেহ ৩৫ টুকরো করে খুন করে দিব্যি একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে আফতাব। খুনের ভয়াবহতা দেখে স্তম্ভিত সারা দেশ। এর মাঝেই যোগীরাজ্যে সুটকেস থেকে উদ্ধার করা হল এক মহিলার মৃতদেহ। যাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ এখনও মৃত যুবতীর পরিচয় জানতে পারেনি। ঠিক কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তাও এখনও অন্ধকারে পুলিশের কাছে।
মথুরার যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস রোডে ট্রলি ব্যাগে মৃত যুবতীর পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। মথুরা পুলিশের একটি দল যুবতীর পরিচয় খুঁজে পেতে দিল্লি, আলিগড়, হাতরাস, নয়ডা, কানপুর এবং আগ্রার একাধিক স্থানে হানা দিয়েছে । পুলিশ অনুমান করছে মৃত যুবতী দিল্লি বা পার্শ্ববর্তী জেলার বাসিন্দা। তবে এখন পর্যন্ত এমন কোন খুনের কোন কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। দেহ শনাক্তকরণের জন্য আশেপাশের জেলাগুলোতে পুলিশের বিশেষ দল পাঠানো হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং মোবাইল ফোনও উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
শুক্রবার দুপুরে উত্তরপ্রদেশের যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস রোডে ট্রলি ব্যাগে এক কিশোরীর মৃতদেহ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্লাস্টিকে মোড়ানো ট্রলি ব্যাগে মেয়েটির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ট্রলি ব্যাগে একটি লাল রঙের শাড়িও পাওয়া গেছে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর মেয়েটির বুকে গুলির চিহ্ন রয়েছে। শরীরে আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গেছে। মেয়েটির বাঁ হাতের কব্জিতে কালো সুতো বাঁধা ছিল। এ ছাড়া পুলিশ এমন কোন সূত্র পায়নি, যার মাধ্যমে মেয়েটিকে শনাক্ত করা যায়।
ঘটনাস্থলে ফরেনসিক দল পৌঁছে ঘটনাস্থল থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছে। এক্সপ্রেসওয়েতে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সম্পর্কে টানাপোড়েনের শিকার হয়েছে ওই যুবতী? তা নিয়েও পুলিশ এখন পর্যন্ত মুখ খোলেনি। হত্যাকাণ্ডে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: < মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা! পাকিস্তানেই মৃত্যু NIA-এর স্ক্যানারে থাকা ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ সন্ত্রাসবাদীর >
আপাতত মৃত যুবতীর দেহ মর্গে রাখা হয়েছে । ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষার ময়নাতদন্ত করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জেলার পুলিশ সুপার এসএসপি অভিষেক যাদব জানিয়েছেন, মেয়েটিকে শনাক্ত করতে চারটি দল গঠন করা হয়েছে। শনাক্ত হওয়ার পরই মেয়েটিকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হবে।